বিনোদন ডেস্ক : চাঁদা দাবি ও হত্যার হুমকির অভিযোগে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। মামলায় উল্লেখ করা হয়, রহমত উল্লাহসহ কয়েকজনের সঙ্গে ক্লাবের খাওয়া-দাওয়াসহ বিভিন্ন প্রকার পানীয় পান করেন তিনি। পরে সেখানে অসুস্থবোধ করেন শাকিব খান। পরে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান রেনেসা সাবরিনের অনুরোধে তার সঙ্গে ক্লাব থেকে হোটেলে যাওয়ার পথে অজ্ঞান হয়ে যান তিনি।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আরফাতুল রাকিবের আদালতে এ মামলা করেন তিনি।
এদিন শাকিব খান আদালতে উপস্থিত হন। এরপর আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। শুনানি শেষে আদালত আগামী ২৬ এপ্রিল আসামিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। এ ছাড়া আরেকটা মামলা করতে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে যান শাকিব। তবে আদালত আগামী সোমবার মামলা ফাইলিং করে আসতে বলেন।
মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, চার বছর আগে চিত্রনায়ক শাকিব খান ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ নামক ছবিতে অভিনয় করতে চুক্তিবদ্ধ হন। এ সিনেমায় নায়িকা হিসেবে শিবা আলী খানকে মনোনীত করা হয়। এ ছবির শুটিংয়ের জন্য ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট অস্ট্রেলিয়া যান। শিবা আলী খান ভিসা জটিলতার জন্য শুটিং করতে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারেননি। তার জায়গায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান রেনেসা সাবরিনের সঙ্গে শাকিবকে অভিনয় করার প্রস্তাব দেন রহমত উল্লাহ। তবে শাকিব তার ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে বিষয়টি নাকচ করে দেন।
আর্জিতে আরও বলা হয়েছে, শুটিং শেষে শাকিবের রিফ্রেশমেন্টের জন্য ক্লাবে নিয়ে যান। সেখানে রেনেসা সাবরিনসহ আরও ২/৩ জন অপরিচিত লোকজনকে দেখতে পান শাকিব। মামলার আসামি রহমত উল্লাহসহ অন্যদের সঙ্গে একত্রে ক্লাবের খাওয়া-দাওয়াসহ বিভিন্ন প্রকার পানীয় পান করেন। এক পর্যায়ে শাকিব অসুস্থবোধ করেন। হোটেলে ফেরত আসার সময় রহমত উল্লাহ এবং অন্য ২/৩ জন লোককে খুঁজে না পেয়ে রেনেসা সাবরিন থেকে বিদায় নিয়ে শাকিব গভীর রাতে হোটেলে ফেরত আসতে গেলে রেনেসা সাবরিন তাকে বলেন, ‘আপনি যেহেতু অসুস্থবোধ করছেন, তাহলে চলেন আমি আপনাকে হোটেল রুমে পৌঁছে দিয়ে আসি।’ শাকিব অনেকটা নিরুপায় হয়ে তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে হোটেল রুমের উদ্দেশে রওনা দেন। ফেরার পথে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে শাকিব অজ্ঞান হয়ে যান।
আর্জিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পরদিন সকালবেলা আসামি রহমত উল্লাহ শাকিবকে ফোনে জানান যে, তুমি রাতে ওই মহিলার সঙ্গে কী করেছ, সবকিছুর ভিডিও ক্লিপ আমার হাতে। তুমি যদি আমাকে এক লাখ ডলার চাঁদা না দাও, তাহলে আমি সমস্ত ভিডিও ক্লিপ ও রেনেসা সাবরিনকে নিয়ে পুলিশের কাছে গিয়ে তোমার নামে অভিযোগ করব এবং তুমি বাংলাদেশে যেতে পারবে না। এই রকম বিভিন্ন ভয়ভীতির একপর্যায়ে শাকিব ভয় পেয়ে যান। শাকিব ভয়ে এবং তার ব্যক্তিগত জীবন ও পারিবারিক সমস্যার কথা চিন্তা করে আসামি রহমত উল্লাহকে ৫ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার প্রদান করেন। পরে আসামি রহমত উল্লাহ তাকে নানা সময়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখয়ে মোট ৪০ লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছেন।
পরে চাঁদা দিতে না পারায় শাকিবকে জানানো হয় যে, তোমার নামে অস্ট্রেলিয়ায় অভিযোগ করা হয়েছে। চাঁদা দেয়া বন্ধ করে দিলে আসামি রহমত উল্লাহ বিভিন্ন জায়গায় ইলেকট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া, বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং শাকিবের পরিবারের সদস্যদের কাছে মিথ্যাচার ও কুৎসা রটাতে থাকেন। ২০২৩ সালের ১৬ মার্চ রহমত উল্লাহ চিত্রনায়ক শাকিব খানের কাছে এক লাখ ডলার চাঁদা দাবি করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।