জুমবাংলা ডেস্ক : এবার তেল ও গ্যাস গ্রাহকদেরও জন্যও সহজে অভিযোগ করা ও ক্ষোভ জানানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। সরাসরি ও আধুনিক পদ্ধতিতে হটলাইন নম্বরে কল করে অভিযোগ করা যাবে। এজন্য পৃথক দুটি হটলাইন নম্বর চালু করা হবে। একটি হবে জ্বালানি তেল বিষয়ে, আরেকটি হবে গ্যাসের জন্য। জ্বালানি বিভাগের নির্দেশে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এবং তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) পৃথক এই হটলাইন নম্বর চালু করতে যাচ্ছে।
দেশে বিদ্যুতের বিতরণ কোম্পানিগুলোর সেবা বিষয়ে গ্রাহকরা নিজেদের মতামত দিতে পারলেও জ্বালানির ক্ষেত্রে তেমনটি নেই। সারা দেশে তেল কিনে কোনও গ্রাহক যদি প্রতারিত হন বা অন্য যে কোনও সমস্যায় পড়েন, সেটি দেখা বা শোনার মতো কেউ নেই। গ্যাসের ক্ষেত্রেও অবস্থা একই। তবে এবার সেটি দূর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করে আসা নূরুল আলম সম্প্রতি জ্বালানি বিভাগে সচিব হিসেবে যোগ দিয়েছেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর এই হটলাইন চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন।
জ্বালানি বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, সময় যত এগুচ্ছে ততই আমরা জনবান্ধব হওয়ার চেষ্টা করছি। মানুষ যাতে সহজে তার অবস্থার কথা জানাতে পারেন সে জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পেট্রোবাংলা এবং বিপিসির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হটলাইনে ২৪ ঘণ্টাই সমস্যার কথা জানানো যাবে। এই সমস্যা যে শুধু শোনা হবে তাই নয়, সমস্যা শুনে সেই অনুযায়ী প্রতিকারের ব্যবস্থাও হবে বলে জানা গেছে। এটি আসলে উন্নত গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করার জন্যই করা হচ্ছে।
সরকার যেহেতু তেল ও গ্যাস সরবরাহের দায়িত্ব পালন করে, তাই গ্রাহক সেবা দেওয়াটা আমাদের দায়িত্ব, যোগ করেন তিনি।
পেট্রোবাংলা সূত্র বলছে, কল সেন্টারের নম্বরটি হবে পাঁচ সংখ্যার। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বিটিআরসি থেকে বিশেষ এই নম্বরটি সংগ্রহ করতে হবে।
বিদ্যুতের গ্রাহকদের জন্য এর আগে প্রত্যেকটি বিতরণ কোম্পানির বিষয়ে পৃথক পৃথক হটলাইন নম্বর ছিল। গত ডিসেম্বর থেকে তাদের একক হটলাইন নম্বর চালু হয়েছে। একটি নম্বরে গ্রাহক ফোন করলে তাকে নির্দিষ্ট বিতরণ কোম্পানিতে ট্রান্সফার করা হয়।
এখন আধুনিক গ্রাহক সেবা সম্প্রসারণে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ২৪ ঘণ্টাই কল সেন্টারে সেবা দিয়ে থাকে। এতে গ্রাহক দ্রুত সেবা পেয়ে থাকেন। সেবা নেওয়ার জন্য সশরীরে হাজির না হলেও চলে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।