লাইফস্টাইল ডেস্ক : বাড়িতে এখন অনেকেরই অক্সিমিটার, থার্মোমিটার, ব্লাড প্রেশার চেক করার যন্ত্রসহ সব কিছুই রয়েছে। কিন্তু এ সব রাখার দু’রকম অর্থই হতে পারে। এক দিকে যেমন সচেতনতা বজায় থাকছে অন্য দিকে আবার অতিরিক্ত সচেতন হতে গিয়ে আতঙ্কও বাড়ছে। কিন্তু যার বাড়িতে এ সবের কোনওটাই নেই, তিনিও কি সচেতন হতে পারেন না?
আসলে মানুষকে নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হওয়াটা খুব জরুরি। কারণ এমন অনেক সাইলেন্ট কিলার রোগ আছে, যেগুলি সহজে ধরা পড়ে না।
যখন ধরা পড়ে, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। তাই নিজের চেক আপ যদি নিজের হাতেই থাকে, তা হলে তা জেনে রাখা অবশ্যই দরকার। এই পরীক্ষা বাড়িতেই খুব সহজে করা যাবে এবং মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই জানা যাবে নিজের শরীর কেমন আছে, সে কথা।
পরীক্ষা ১
এই পরীক্ষা করার সময়ে আপনার আঙুলগুলোকে মুঠো করে নিন। তার পরে হাতের মুঠো শক্ত করে চেপে ধরুন। এই অবস্থায় ঠিক ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন। তার পর ধীরে ধীরে হাত ছেড়ে দিন। হাত ছেড়ে দেওয়ার পরে লক্ষ্য করবেন যে, আপনার তালু আগের চেয়ে কিছুটা সাদা হয়ে গেছে। এটি রক্ত প্রবাহ হ্রাসের কারণে হয়।
এ বার কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করুন এবং আপনার হাতের তালু পর্যবেক্ষণ করুন। হাতের তালুকে স্বাভাবিক রঙে ফিরে যেতে দেখুন এবং লক্ষ করুন, তা হতে কতটা সময় লাগল। যদি এই সময়ে আপনি অসাড় বোধ করেন বা রক্ত ফিরে আসতে কিছু ক্ষণ বা তার বেশি সময় লাগে, তা হলে এটি আর্টেরিওস্ক্লেরোসিসের লক্ষণ হতে পারে।
আর্টেরিওস্ক্লেরোসিস এমন একটি অবস্থা, যেখানে হৃৎপিণ্ড থেকে শরীরের বাকি অংশে অক্সিজেন এবং পুষ্টি বহনকারী রক্তনালীগুলি পুরু এবং শক্ত হয়ে যায়। ফলে নানা সমস্যার তৈরি হয়।
পরীক্ষা ২
পরবর্তী পরীক্ষাটির জন্য ৩০ সেকেন্ডও অপেক্ষা করতে হবে না। তার জন্য মাত্র ৫ সেকেন্ডই যথেষ্ট। এ ক্ষেত্রে এক হাত দিয়ে অন্য হাতের নখের গোড়া চেপে ধরুন। আগের পরীক্ষার মতোই এ ক্ষেত্রেও নখ সাদা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে এই পরীক্ষার পরে রক্ত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে অর্থাৎ নখের গোড়া লালচে হতে ৩ সেকেন্ডের বেশি সময় নেওয়া উচিত নয়। কিন্তু যদি সেই সময়ে আপনি আঙুলে ব্যথা এবং অস্বস্তি অনুভব করেন, তা হলে তা ঠিক কী কী তথ্য তুলে ধরে জেনে নিন।
>বুড়ো আঙুলে ব্যথা শ্বাসকষ্টের সংকেত দিতে পারে।
>তর্জনী কোলন বা পাচনতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যাগুলি নির্দেশ করতে পারে।
>মধ্যমা কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার লক্ষণ বলতে পারে।
>অনামিকায় সমস্যা হলে তা হৃৎপিণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।
>অবশেষে ক্ষুদ্রতম আঙুল অর্থাৎ কনিষ্ঠা অন্ত্রের সমস্যার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।
এই পরীক্ষায় প্রতিটি আঙুল শরীরের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে সংযুক্ত থাকার কারণে সেই সব প্রত্যঙ্গে নানা অনিয়ম শনাক্ত করতে সক্ষম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।