জুমবাংলা ডেস্ক : একতলা বাড়ির ঠিক প্রবেশপথে কলাপসিবল গেটের উভয় পাশেই বাসা বেঁধে আছে মৌমাছি। শুধু তাই নয়, বেলকনির ছাদের নিচের অংশ, জানালার কার্নিশ ও বাড়ির ছাদের কার্নিশের চারদিকেই তাদের বাস। এ যেন এক মৌচাকে ঘেরা বাড়ি।
নড়াইল সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের গোপালপুর বাজার থেকে প্রধান সড়ক দিয়ে পূর্ব দিকে ২০০-৩০০ মিটার এগোতে হাতের ডান পাশে চোখে পড়বে বগুড়া-গোপালপুর বিলের লাগোয়া একটি একতলা বাড়ি। একটি-দুটি নয়, ২০টির বেশি মৌমাছির চাকে ঘেরা এ বাড়ি। বনেদি কৃষক লিয়াকত মোল্যার এ বাড়ির ভবনের কার্নিশসহ সর্বত্র ঘিরে বাসা বেঁধেছে মৌমাছিগুলো।
বাড়ির লোকজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ বাড়িটি লোকজন মৌমাছির বাড়ি হিসেবেই চিনে। এ বাড়ির দৃষ্টিনন্দন মৌচাক দেখতে দূরদূরান্ত থেকেও অনেকে আসেন। পাকা সড়ক ও বৃহৎ বিল সংলগ্ন বাড়ি হওয়ায় প্রতিনিয়ত চলাচলকারী পথচারীরা আসা-যাওয়ার সময় দৃষ্টিনন্দন মৌমাছির চাক উপভোগ করে থাকেন। তাদের ঘর-বারান্দাসহ সব জায়গায় মৌমাছির আনাগোনা থাকলেও আঘাত না পেলে সহজে কাউকেই কামড় দেয় না। প্রায়ই মৌয়াল মধু কিনতে বাড়ি এলেও তাদের কাছে মধু বিক্রি করেন না তারা।
বাড়ির মালিক লিয়াকত মোল্যা বলেন, প্রতি বছর অগ্রহায়ণ মাসের শুরুতে সরিষা ফুলের মৌসুমে মৌমাছি এসে বাসা বাঁধে। তবে চৈত্র মাসের শেষের দিকে ৭০-৮০ ভাগ মৌমাছি চলে যায়। বাড়িতে এত মৌমাছি থাকলেও আজ পর্যন্ত কখনো আমাদের অত্যাচার করেনি। পরিবারের কাউকে, এমনকি আমার অল্প বয়সি নাতি বাড়িতে প্রায় ছোটাছুটি করে। তাকেও কামড় দেয়নি। রাতের বেলায় বাতি জ্বললে বাতির নিচে এসে কিছুটা জ্বালাতন করে। তবে এসব দেখতে দেখতে এখন আমাদের সয়ে গেছে। নড়াইল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. সিদ্দীকুর রহমান বলেন, মৌমাছি ফুলের পরাগায়ন ঘটিয়ে বনজ, ফলদ ও কৃষিজ ফসলের উৎপাদন ২৫ থেকে ৩০ ভাগ বাড়িয়ে দেয়। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারলে বাড়ি বাড়ি ও বন-জঙ্গলে মৌমাছির সংখ্যা আরও বাড়বে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।