জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় মাত্র এক মিনিটের স্থায়ী ঘূর্ণিঝড়ে দুইটি ইউনিয়নের অন্তত ছয়টি গ্রামের শতাধিক কাচা-পাকা বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে উপড়ে পড়েছে কমপক্ষে তিনশতাধিক গাছপালা।
বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়ন এবং টগরবন্ধ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে ঐ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ক্ষতিগ্রস্তরা অনেকেই খোলা আকাশের নিচে ও আশপাশের বাড়ি-এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের নাম-পরিচয় ও তালিকা পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, ফরিদপুরে বৃহস্পতিবার সকালে শুরু হয়ে থেকে সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড়, যা এক মিনিটেরও কম সময় স্থায়ী ছিল। এতেই আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিদ্যাধর, ব্রাহ্মণ-জাটিগ্রাম, বেজিডাঙ্গা এবং টগরবন্ধ ইউনিয়নের মালা, কৃষ্ণপুর-টগরবান, তিতুরকান্দি গ্রামের কাচা-পাকা বাড়িঘর, গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফসলি জমিও নষ্ট হয়েছে।
সদর ইউনিয়নের বিদ্যাধর গ্রামের ইউপি সদস্য মো শরিফুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকেই প্রচণ্ড বৃষ্টি ছিল। বিকেলের দিকে হঠাৎ করে ঘূর্ণিঝড় হয়, যা এক মিনিটের মতো স্থায়ী ছিল। এতে আমাদের ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের ২০ থেকে ৩০টি ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে উপড়ে গেছে।
এ বিষয়ে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বলেন, এ ইউনিয়নের তিন গ্রামের বেশকিছু পরিবারের বাড়ি ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো ও সহায়তার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা পারভীন বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে গিয়ে সাধ্যমতো সহযোগিতা করা হয়। টগরবন্ধ ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের ৬০ থেকে ৭০টি বাড়িঘর এবং কয়েকশ গাছপালা উপড়ে গেছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহিদুল হাসান জাহিদ জানান, সারাদিনই প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়েছে। বিকেলে মাত্র এক মিনিটের মতো ঘূর্ণিঝড়ে দুই ইউনিয়নের ছয়টি গ্রামের প্রায় শতাধিক কাঁচাপাকা বাড়িঘর ভেঙে লান্ডভন্ড হয়ে গেছে। এছাড়া তিনশতাধিক গাছপালা উপড়ে পড়ে। বৃষ্টির মধ্যে ভিজে উদ্ধার কাজ করা হয়। অনেকেই ঘরবাড়ি ছাড়া খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেন। তাদের নিরাপদ স্থান এবং আশপাশের এলাকায় অস্থায়ীভাবে রাখা হয়েছে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার জানান, এ বিষয়ে খবর পেয়ে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ করছেন। হঠাৎ করে ঘূর্ণিঝড়টি রূপ নেয়। শুক্রবার সকালে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করার কথা বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।