মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক গৃহবধু ও তার সত্তোরোর্ধ পিতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশিদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামী করে মানিকগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী মো. আব্দুল বারেক।
বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের মালাকার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার গৃহবধুর নাম রিনা আক্তার (২৭) ও তার পিতা মো. আব্দুল বারেক (৭৫)।
অভিযুক্তরা হলেন- আব্দুল হক (৪৮), সাকিল (২৭), সাইব (২৫), শারমিন (৩৬), রিনা (২৪)। তারা সকলেই ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের মালাকার মোড় এলাকার বাসিন্দা।
অভিযোগে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মো. আব্দুল বারেকের বাড়ির সামনে রাস্তার পাশের জমি নিজের বলে দাবি করে দখলপূর্বক দোকানঘর নির্মাণ করছিল আব্দুল হক ও তার স্বজনরা। এর প্রতিবাদ করলে বিবাদীরা আব্দুল বারেক ও তার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ ও এলোপাথারি কিল ঘুষি ও বাঁশের লাঠি, কাঠের বাটাম দিয়ে মারপিট করে এবং মেয়ে রিনাকে শ্লীলতাহানী করে। এসময় রিনা মাটিতে পড়ে গেলে বিবাদীরা রিনার গলায় পরিহিত এক ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে। পরবর্তীতে তারা মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রাথমিক টিকিৎসা গ্রহণ করেন।
মো. আব্দুল বারেক বলেন, ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। কিন্ত তারা আগে থেকেই দোকানঘর নির্মাণ জমি দখলে নেয়ার পায়তারা করছে। যাতে মামলার রায় পেলেও আমরা যেন জমি দখলে নিতে না পারি। ভবিষ্যতে তারা আমাদের আরো বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। তাদের ভয়ে আমরা আতংকিত ও নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল হক বলেন, আমরা এই জমি ক্রয় করেছি। আমাদের নামে খাজনা খারিজ সব কমপ্লিট। এই জমি নিয়ে তারা অনেকগুলো মামলা করলেও সবগুলোর রায়ই আমাদের পক্ষে এসেছে। আদালতের রায়ের পরই আমার জমিতে আমি দোকান ঘর নির্মাণ করছি। আর তাদেরকে আমরা কোনধরনের মারধর করিনি। তারাই আমার ছেলেকে মারধর করেছে এবং মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আমান উল্লাহ বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।