জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ায় কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে আসামি পালানোর ঘটনা এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। এর আগে এ ধরনের ঘটনা বিরল। জনমনে প্রশ্ন, আসামিরা কীভাবে সাধন করল এমন অসাধ্য কাজ? নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টদের বরাতে যা জানা যাচ্ছে, তা রীতিমতো সিনেমা।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল আলমের ভাষ্য, জেলটি ব্রিটিশ আমলের। ছাদে কোনো রড ছিল না। কাপড় দিয়ে ওপরে উঠে তারা ছাদ ফুটো করে পালিয়েছে।
জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে গতরাতে তারা কনডেম সেলের ছাদ কেটে কাপড়ের রশি বানিয়ে ছাদ থেকে নেমে পালিয়ে যায়।
তবে আসামিদের কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে জানতে জেল সুপার আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
পালিয়ে অবশ্য খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি অতি চালাক— কুড়িগ্রামের নজরুল ইসলাম মঞ্জুর, নরসিংদীর আমির হামজা, বগুড়ার কাহালুর মো. জাকারিয়া এবং বগুড়া সদরের ফরিদ শেখ। ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যেই কারাগার থেকে ৫০০ মিটার দূরে করতোয়া নদীর তীর থেকে তাদের আটক করে ডিবি পুলিশ।
এদিকে এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল কায়েসকে প্রধান করে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ৫৫ মিনিটে খবর পাই বগুড়া কারাগার থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার কয়েদি পালিয়েছেন। পরে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, জেল কর্তৃপক্ষ আমাদের বিষয়টি জানায় ৩টা ৫৬ মিনিটে। এরপর পুলিশের সব ফাঁড়ি এবং টহল দলকে অ্যালার্ট করে দেওয়া হয়। ভোর সাড়ে ৪টায় সদর ফাঁড়ির সব-ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে পলাতক চার আসামিকে ধরে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।