বিনোদন ডেস্ক : তারকারাও সুখে ঘর করতে পারেন। এখনও পর্যন্ত এ সুনাম ধরে রেখেছেন বলিউডের বচ্চন পরিবারের ছেলে-পুত্রবধূ অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন। এর পুরো কৃতিত্বই ঐশ্বরিয়াকে দিলেন অভিষেক।
এ তারকা বললেন, ‘দুজনের নির্ঝঞ্ঝাট সম্পর্ক বয়ে নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব কেবল ঐশ্বরিয়ার একা।’ টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে জানা গেল কিভাবে অভিষেককে সামলান বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রায়। কিছুদিন আগে মুম্বাইয়ে এক পডকাস্টে এসেছিলেন অভিষেক। সেখানেই এসব নিয়ে কথা বলেন অভিনেতা।
অভিষেক বলেন, মাথা গরম নিয়ে বাসায় ফেরার পর তার স্ত্রী প্রথমে চুপচাপ তার কথা শোনেন, বিরক্ত হন না। এরপর মেজাজ ঠাণ্ডা করতে এমন সব কথা বলেন যে রাগ এমনিতেই নেমে যায় অভিষেকের।
‘আপনিই বলুন, মুম্বাইয়ের রাস্তায় যে ট্রাফিক, সারাদিন পরিশ্রমের পর এই রাস্তাঘাট দিয়ে মাথা ঠাণ্ডা রেখে বাড়ি ফেরা সম্ভব?’
‘তো রেগেমেগে বাড়ি ফেরার পর ঐশ্বরিয়া বলে, তুমি কেন এত রেগে আছ? যেমন করেই হোক বাড়িতে তো ফিরেছ। বাড়ি ফিরে আমাদের সুস্থ অবস্থায় পেয়েছ, এখন শান্ত হও।’
অভিষেক বলেন, মহামারীর প্রথম বছর ২০২০ সাল, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয় বচ্চন পরিবার। এক মাস হাসাপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে যখন বাড়িতে ফিরি, ঐশ্বরিয়ার প্রথম কথাই ছিল যে আমরা খুব ভাগ্যবান। কারণ পরিবারের কাউকে হারাতে হয়নি, বিধ্বস্ত হয়ে যাইনি আমরা। এর চেয়ে বড় আর কিছু পাওয়ার নেই।
বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করেন অভিষেক ও ঐশ্বরিয়া। সালটা ছিল ২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল। এই জুটির ভালোবাসার গল্প শুরু এর আগের বছর ‘উমরাও জান’ সিনেমার শুটিং সেট থেকে।
অভিষেক পাঁচ বছর পর বড় পর্দায় ফিরেছেন ‘ঘুমর’ সিনেমা দিয়ে। শুক্রবার মুক্তির দিন মুম্বাইয়ের একটি হলে সশরীরে গিয়ে দর্শকদের চমকে দেন তিনি। নির্মাতা আর বাল্কি তার এই সিনেমায় অভিষেককে তুলে ধরেছেন ক্রিকেটার কোচের ব্যতিক্রমী এক চরিত্রে।
এর ধারা ভাষ্যকার হর্ষে ভোগলে। সিনেমায় ক্রিকেটার হয়েছেন সৈয়ামি খের। আরও অভিনয় করেছেন শাবানা আজমী, অঙ্গদ বেদী, নিমরত কৌর এবং অমিতাভ বচ্চন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।