লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমরা অনেকেই টাক নিয়ে সমস্যায় থাকি। এটি একটি বাড়তি টেনশন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেসিয়া হলো— বংশগত বা জেনেটিক চুল পড়া, যা পুরুষ ও মহিলা উভয়ের মধ্যেই টাক পড়ে। এখানে আমরা জেনেটিক চুল পড়া সম্পর্কিত তিনটি মিথ সম্পর্কে সত্য বলছি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুল পড়া মোকাবিলা করা বেশ কঠিন। এটি বলা হয় যে আপনার বাবা-মা, দাদা-দাদির মধ্যে একজনের যদি টাক হয়ে থাকে, তবে আপনারও টাক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। একে বলে জেনেটিক চুল পড়া। আপনি পুরুষ ও নারী উভয়েরই জেনেটিক চুল পড়া দেখতে পারেন, যা পুরুষ প্যাটার্ন টাক এবং নারী প্যাটার্ন টাক হিসাবে পরিচিত। জেনেটিক চুল পড়ার কারণে পুরুষের চুল ক্রমশ পাতলা হয়ে যায়, চুলের রেখা কমে যাওয়া থেকে শুরু করে। এ অবস্থার কারণে আপনার মাথার ওপরের অংশে টাক পড়ে। একই সময়ে নারীর মধ্যে খুব কম টাকের প্যাচ দেখা যায়। যাই হোক নারীর মাথার ওপরের চুল পাতলা হতে পারে।
মিথ১: জেনেটিক চুল পড়া শুধু পুরুষের হয়
আর নারীর মধ্যেও চুল পড়া বেশ সাধারণ। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ মিলিয়ন নারী প্যাটার্ন টাক অনুভব করেন। তিনি অতিরিক্ত চুল পাতলা হওয়ার অভিজ্ঞতাও পান। নারীর চুল পড়া পুরুষের তুলনায় ভিন্নভাবে ঘটে।
মিথ২: ওজন প্রশিক্ষণ টাক সৃষ্টি করে
অনেক গবেষণা প্রমাণ করে যে, শারীরিক ক্রিয়াকলাপ টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়ায়। তবে এমন কোনো প্রমাণ নেই যা ব্যায়াম ও চুল পড়ার মধ্যে যোগসূত্র নিশ্চিত করে। এটিবলা হয় যে, উচ্চতর টেসটোসটেরন মাত্রার পুরুষের প্যাটার্ন টাক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
মিথ৩: ঘুমের অভাব, স্ট্রেস বা স্টাইলিংয়ের কারণে টাক পড়ে
স্ট্রেস, আঁটসাঁট চুলের স্টাইল ও ঘুমের অভাব চুল পড়ার কারণ হতে পারে। তবে এটি জেনেটিক চুল পড়ার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।