বিনোদন ডেস্ক : জীবনের এতগুলো বসন্ত পার করেও আজও তরুণ পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মনে প্রাণে আজও খেলে বসন্ত। সেই সময়ে দাঁড়িয়ে তাঁর ছিল ভালবাসার বিয়ে। পাড়ার মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরীকেই এনেছিলেন স্ত্রী করে। তাঁর মিষ্টি হাসি, দুধে আলতা রঙে বুঁদ ছিলেন তিনি। তাঁর প্রেমকাহিনী যেন গল্পের মতোই সুন্দর। টিভিনাইন বাংলার কাছে বসন্তের দিনে সেই প্রেমের কথাই শেয়ার করলেন তিনি…
পরাণের কথায়,
“পাড়ার মধ্যে যে মেয়েটি সবচেয়ে সুন্দরী, এক্কেবারে সেই দুধে আলতা রঙ, মাথা-ভর্তি চুল, একটু ছোটখাটো… এই ছেলেটি (পরাণ নিজেকেই উদ্দেশ্য করেছেন) যখন শৈশব-উত্তীর্ণ কৈশোরের সন্ধিক্ষণে, তখন সেই মেয়েটির সঙ্গে পাড়ায় একসঙ্গে খেলাধুলো করত। তখন তো দু’জনেই ছোট। তবে অনুভূতির মধ্যে যে হালকা শিহরণ, কম্পন, তা বুঝতে পারা গেল কলেজে ওঠার পর। সেই ছেলেটি কলেজ পাশ করল।
চাকরি পেল। ঘটনাচক্রে হল কী, সেই মেয়েটিই তার ঘরে এল! পাড়ার মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরী, সেই মেয়েই এল আমার ঘরে। অনেকেই ইট পেতে ছিল-টিল। কিন্তু মাঝখান থেকে… হা হা হা!” লক্ষ্মী এল তাঁরই ঘরে। এত বছরের জীবনে লক্ষ্মী ছাড়া হওয়ার ইচ্ছে হয়নি কোনওদিন? হালকা হেসে তাঁর উত্তর, “ছেলেটি একবার এক চাঁদ দেখে ফেলেছে না, তাই আকাশের দিকে তাকিয়ে হাজার চাঁদ খুঁজলেও সে পাবে না। নজরেই যে পড়েনি কোনওদিন… সারাটা জীবন—ওই একটাই চাঁদ কাফি হ্যায়।”
দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা পরাণের গল্পটা খানিক রূপকথার মতো। সরস্বতীকে ভালবেসেছিলেন তিনি। তাঁর পূজাতেই হয়েছিলেন ব্রতী। তাই লক্ষ্মী তাঁকে কোনওদিনও ছেড়ে যায়নি। ঠিক যেমন আগলে রেখেছিল ঘরের লক্ষ্মীও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।