লাইফস্টাইল ডেস্ক : ডিম আমাদের কম-বেশি সবারই পছন্দ। রাত কিংবা দিন যেকোনো সময়ের খাবারের প্লেটে একবার হলেও ডিম থাকে। কেননা টেস্টের সঙ্গে সঙ্গে ডিম প্রোটিনেরও উৎস। আর তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ডিম রাখা স্বাস্থ্যকর।
ডিম সহজলভ্য ও সহজে যেকোনো পদ্ধতিতে রান্নার জন্য প্রস্তুত করা যায়। এ কারণে অনেকে বাড়িতে বেশি করে ডিম এনে রাখেন। তবে একসঙ্গে অনেক ডিম কিনে আনলে অনেক সময় পচা ডিম বের হয়। বাইরে থেকে বোঝাও যায় না ডিম পচা নাকি ভালো। তবে বাজার থেকে ডিম কিনে ফ্রিজে রাখার আগেই কীভাবে যাচাই করবেন সেটি পচা না কি ভালো। চলুন জেনে নিই-
ফ্লোট টেস্ট বা স্নিফ টেস্টের মতো পরীক্ষাগুলো আপনাকে আপনার ডিম ভাল না খারাপ তা নির্ধারণ করতে সাহায্য করতে পারে।
ফ্লোট বা স্নিফ পরীক্ষা
স্নিফ টেস্ট হলো একটি ডিম খারাপ হয়েছে কিনা তা জানার প্রাচীনতম, সহজতম এবং সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি। আপনি যদি দেখেন ডিম বিক্রয়ের পর এর মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ পেরিয়ে গেছে, আপনি একটি সাধারণ স্নিফ দিয়ে বলতে পারেন যে সেগুলো এখনও ভালো কিনা।
যে ডিমগুলো নষ্ট হয়ে গেছে সেগুলি কাঁচা বা রান্না করা যাই হোক না কেন, এটি থেকে বাজে দুর্গন্ধ আসবে। এছাড়া রান্নার আগে ডিমটি একটি পরিষ্কার বাটিতে ভেঙে দেখতে পারেন, নষ্ট না ঠিক আছে। এ ছাড়া আপনি যদি নষ্ট ডিম সিদ্ধ করেন, সেই ডিম থেকেও বাজে গন্ধ আসবে।
পানিতে ডুবিয়ে দেখা
ডিম ভালো আছে কিনা জানতে একটি বড় পাত্রে পানি নিন। তাতে ডিমগুলো ডুবিয়েই কিন্তু পচা ডিম চিনে ফেলা যায় সহজেই। ডিম ভালো হলে সেগুলো পাত্রের তলায় ডুবে থাকবে, আর পচা ডিমগুলো পানির ওপরে ভাসতে থাকবে।
শব্দ শুনে
শব্দ শুনেও পরীক্ষা করা যায়। ডিম ঝাঁকিয়ে দেখুন ভালো কি না। ডিম ঝাঁকানোর সময় যদি কোনো শব্দ না শুনতে পান, তা হলে বুঝবেন ডিম ভালো। আর যদি ঢক ঢক আওয়াজ পান, তা হলে বুঝবেন, ডিম পচে গেছে।
আলোর সামনে ধরে
আলোর সামনে ধরলেও ডিম ভালো আছে কি না তা পরীক্ষা করা যায়। যদি ডিমের ভেতর রিং-এর মতো আকার দেখতে পান, তবে বুঝতে হবে ডিমে পচন ধরা শুরু হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।