Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home একুশের গান যেভাবে সৃষ্টি হলো
    বিনোদন

    একুশের গান যেভাবে সৃষ্টি হলো

    Tarek HasanFebruary 20, 20244 Mins Read
    Advertisement

    বিনোদন ডেস্ক : ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’— গানটি শুনলেই যেন আবেগতাড়িত হয়ে পড়ে সমগ্র বাঙালি। কেননা এই গানের মাঝেই মিশে আছে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরসহ আরও অনেকেই। ভাষা আন্দোলনে যারা নিজের জীবন দিয়েছেন। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছেন মাতৃভাষা।

    একুশের গান যেভাবে সৃষ্টি হলো

    ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’— এই গানটিকে প্রথমে কবিতা হিসেবেই লিখেছিলেন আব্দুল গাফফার চৌধুরী। কবিতাটি ইতিহাসের বাঁক বদলের সাক্ষী, রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে রক্তক্ষয়ী অধ্যায়ের প্রতিচ্ছবি, ভাষা আন্দোলনের এক অনন্য দলিল। যে কবিতায় উঠে এসেছে বাঙালির আত্মত্যাগের গল্প। কিন্তু পরে সেটা রূপান্তরিত হয় গানে।

    ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালালে শহীদ হন— সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরসহ নাম না জানা অনেক ছাত্র। সেসময় ঢাকা মেডিকেলে আহত ছাত্রদের দেখতে গিয়েছিলেন ঢাকা কলেজের ছাত্র ও দৈনিক সংবাদের অনুবাদক আবদুল গাফফার চৌধুরী। তিনি যখন ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগে ঢোকেন, তখন দেখতে পান সেখানে পড়ে আছে জগন্নাথ কলেজের ছাত্র ভাষা শহীদ রফিকউদ্দিন আহমদের মরদেহ।

    ১৪৪ ধারা ভেঙে যখন ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হোস্টেল প্রাঙ্গণে আসে, তখন ছাত্রদের ওপর গুলি চালায় পুলিশ। মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই শহীদ হন রফিকউদ্দিন। মেডিকেল হোস্টেলের ১৭ নম্বর রুমের পূর্বদিকে পড়ে ছিল তার মরদেহ। পরে ৬-৭ জন ভাষা আন্দোলন কর্মী তার মরদেহ এনাটমি হলের পেছনের বারান্দায় এনে রাখেন।

    রফিকউদ্দিনের মরদেহ দেখে আবদুল গাফফার চৌধুরীর মনে হয়েছিল, এটি যেন তার আপন ভাইয়েরই রক্তমাখা মরদেহ। আর তখনই তার মনের আল্পনায় ভেসে এসেছিল কবিতার ২টি ছত্র।

    ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
    আমি কি ভুলিতে পারি
    ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়া-এ ফেব্রুয়ারি
    আমি কি ভুলিতে পারি’

    হাসপাতালের বাইরে তখন ছাত্র-জনতার ভিড়। ঠিক তখনই বন্ধু সৈয়দ আহমদ হোসেনের সঙ্গে দেখা হলে তাঁকে আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন, একটা মরদেহও দেখে এলাম বারান্দায়। একইসঙ্গে তার কবিতাটির কথাও জানালেন। সৈয়দ আহমদ হোসেন কবিতার প্রথম ছত্র শুনে আবদুল গাফফার চৌধুরীর হাত চেপে বললেন, খুব ভালো হয়েছে। এই কবিতাটির বাকি অংশ এখনই লিখে ফেলুন না।

    জবাবে আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী, রাস্তায় দাঁড়িয়ে কি কবিতা লেখা যায়? হোস্টেলে ফিরে না হয় লিখব।’ কিন্তু তর সইল না সৈয়দ আহমদ হোসেনের। তিনি বলেই ফেললেন, ‘হোস্টেলে ফিরতে তো দেরি হবে। হেঁটে আরমানিটোলা যদি যান পথেই কবিতাটি হারিয়ে যাবে। তারচেয়ে আমার সাইকেলটা নিয়ে রওনা দিন। জলদি পৌঁছতে পারবেন।

    এদিকে হোস্টেলে পৌঁছেই আবদুল গাফফার চৌধুরী ভাবলেন, কবিতার একটা ব্যবস্থা করা উচিত। নয়তো পরে আর লেখা সম্ভব হবে না। তখন হোস্টেলে বসেই তিনি বেশ কয়েক লাইন লিখলেন তিনি।

    হোস্টেল বন্ধ হয়ে যাবে বলে সেখান থেকে বেগমবাজারে অবস্থিত ঢাকা কলেজের অন্য একটি হোস্টেলে চলে যান আবদুল গাফফার চৌধুরী। সেই হোস্টেলের সুপার ছিলেন ঢাকা কলেজের অধ্যাপক সাইদুর রহমানের ছেলে সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক শফিক রেহমান। তার সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব ছিল আবদুল গাফফার চৌধুরীর। সেই সূত্রে সেদিন রাতে হোস্টেলের অতিথি নিবাসে শফিক রেহমানের সঙ্গে ছিলেন তিনি। আর সে রাতেই লেখা হলো কবিতাটির একাংশ।

    পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি শহীদ স্মরণে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ইমামতিতে অনুষ্ঠিত হয় গায়েবি জানাজা। আর সেই জানাজা শেষে জনতার মিছিল বের হলে মিছিলে হঠাৎ লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। সেখানে আবদুল গাফফার চৌধুরীও ছিলেন। পুলিশের লাঠিচার্জে আহত তিনি। পরে সেখান থেকে তার বন্ধু দাউদ খান মজলিশের সহযোগিতায় গেণ্ডারিয়ায় এক আত্মীয়ের বাসা চলে যান তিনি। সেই বাসার চিলেকোঠাতেই লেখা হয়েছিল কবিতাটির আরেক অংশ। তবে কবিতাটি লেখা সম্পন্ন হয়নি।

    লাঠিচার্জে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হন আবদুল গাফফার চৌধুরী। হাসপাতালেই ফের সৈয়দ আহমদ হোসেনের সঙ্গে দেখা হয় তার। সেসময় কবিতাটি লেখা শেষ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন, হয়েছে কিছুটা। সৈয়দ আহমদ হোসেন আবারও তাক্যা অনুরোধ করে বলেন, আজকের মধ্যেই লেখা শেষ করে দিন। বিশেষ প্রয়োজন। এরপরেই কবিতাটির বাকি অংশ লেখা শেষ করেন আবদুল গাফফার চৌধুরী।

    জানা গেছে, ‘বিপ্লবের কোদাল দিয়ে আমরা অত্যাচারী, শাসকগোষ্ঠীর কবর রচনা করব’ শিরোনামে একুশের গানের প্রথম কয়েক ছত্র লিফলেটে প্রকাশিত হয়েছিল। প্রায় ২-৩ হাজার লিফলেট ছাপানো হয়েছিল। উৎসাহী ছাত্ররাই লিফলেটগুলো চারদিকে ছড়িয়ে দেন। তবে লিফলেটে সেসময় লেখকের নাম প্রকাশিত হয়নি।

    পরে ১৯৫৩ সালে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ সংকলনে আবদুল গাফফার চৌধুরীর নাম ও একুশের গান শিরোনামে কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এই কবিতাটিতে প্রথম সুর দিয়ে গানে রূপান্তরিত করেন তৎকালীন যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুল লতিফ। ১৯৫৩ সালের ঢাকা কলেজের ছাত্র সংসদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রথম গাওয়া হয় গানটি। গুলিস্তানের ব্রিটেনিকা হলে গানটি গেয়েছিলেন আব্দুল লতিফ এবং আতিকুল ইসলাম।

    একই বছর ঢাকা কলেজের ছাত্ররা কলেজে শহীদ মিনার স্থাপনের সময় গানটি গেয়েছিলেন। আর সেসময় এই গান গাওয়ার অভিযোগে কলেজ থেকে ১১ ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়। পুলিশ গ্রেপ্তার করে সুরকার আব্দুল লতিফকে। পরে মওলানা ভাসানীর অনুরোধে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী প্রতিবাদ জানালে ছাত্রদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় প্রশাসন।

    পরে ১৯৫৪ সালে গানটিতে নতুনভাবে সুরারোপ করেন প্রখ্যাত সুরকার আলতাফ মাহমুদ। ওই বছরই ২১ ফেব্রুয়ারি প্রভাতফেরিতে আলতাফ মাহমুদের সুরে গাওয়া হয় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’। ধীরে ধীরে এই সুরটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়।

    এবার জাহ্নবীর দক্ষিণ জয়

    ১৯৬৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত জহির রায়হানের কালজয়ী ‘জীবন থেকে নেওয়া’ চলচ্চিত্রে প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল গানটি। ২০০৬ সালের মার্চ মাসে বিবিসি বাংলার শ্রোতা জরিপে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাংলা গানের তালিকায় এই গানটির অবস্থান ছিল তৃতীয়। গানটি গাওয়া হয়েছে ইংরেজি, ফরাসি, জাপানি, হিন্দিসহ মোট ১২টি ভাষায়।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    একুশের গান বিনোদন যেভাবে সৃষ্টি হলো
    Related Posts
    shakib-khan

    সত্যিই কি কালা জাহাঙ্গীরকে নিয়ে নির্মিত হবে শাকিবের নতুন সিনেমা? যা জানা গেল

    July 31, 2025
    ওয়েব সিরিজ

    রোমান্সে ভরপুর উল্লুর নতুন এই ওয়েব সিরিজ, ভুলেও কারও সামনে দেখবেন না

    July 30, 2025
    Katrina

    ক্যাটরিনার মা হওয়ার গুঞ্জনে জোর হাওয়া

    July 30, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Hisense U9K QLED TV

    Hisense U9K QLED TV বাংলাদেশে ও ভারতে দাম, স্পেসিফিকেশনসহ পূর্ণাঙ্গ রিভিউ

    Google Pixel Nest Audio

    Google Pixel Nest Audio: বাংলাদেশ ও ভারতে দাম, স্পেসিফিকেশনসহ সম্পূর্ণ গাইড

    দুর্গাপূজা

    দুর্গাপূজায় ইলিশ চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য ব্যবসায়ীদের চিঠি

    বন্ধুত্বে বিশ্বাসঘাতকতা

    বন্ধুত্বে বিশ্বাসঘাতকতা মোকাবেলার কার্যকরী কৌশল: ক্ষত শুকানোর পথে হাঁটার নির্দেশিকা

    ৫ কোটি টাকা

    রিয়াদের বিরুদ্ধে আরেক সংসদ সদস্যের থেকে ৫ কোটি টাকার চেক লিখে নেওয়ার অভিযোগ

    Brazil interest rate decision

    Brazil Markets on Edge: U.S. Tariffs Threaten Exports as Central Bank Meets

    drone thermal imaging

    How Texas Floods Sparked New Thermal Drone Technique (48 characters)

    Grand Sierra Resort shooting

    Grand Sierra Resort Shooting: Suspect Dakota Hawver’s Background, Charges, and Unanswered Questions

    OITNB actor homeless

    Orange is the New Black Actor Reveals Homelessness During Filming: Life Lesson

    Mexican Peso

    Mexican Peso Steadies at 18.75 Amid Dollar Swings: Trade Deal Turbulence Analyzed

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.