আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিরাপত্তার জন্য দেওয়া হলো চশমা এবং সাদা রংয়ের একটি ল্যাব কোর্ট। এরপর আমাকে নিয়ে যাওয়া হলো সাউথ ওয়েলসের কাছে রয়েল মিন্টে। যেখানে বিশ্বের ৩০ দেশের হাজার হাজার কয়েন তৈরি করা হয়। গত দুই বছর ধরে যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে রয়েল মিন্টে অভিনব কায়দায় কয়েন উৎপাদন করে। ইলেক্সটানিক বর্জ্য থেকে এগুলো তৈরি করা হয়।
যখন আমি ছোট ল্যাবরেটরিতে প্রবেশ করলাম, তার ম্যানেজার হেইলি যিনি একজন কেমিক্যাল বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, এখানে সবকিছুই গোপন।
হেইলি এবং তার একটি দল কেমিক্যাল বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করেন। তিনি প্রিন্টারের সার্কিট বোর্ড এবং ল্যাপটপের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও পুরনো মোবাইল থেকে স্বর্ণ বের করতে লাগলেন। চলতি বছর রয়েল মিন্ট মাল্টি মিলিয়ন ডলারের কারখানা চালু করেছে। যেখানে প্রতি সপ্তাহে ৯০ টন সার্কিট বোর্ড প্রক্রিয়া করণ করা হবে। যখন এটি সম্পূর্ণভাবে চালু করা হবে তখন এ কারখানা থেকে বছরে শত শত কিলোগ্রাম স্বর্ণ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে। কেমিক্যাল ব্যবহার করে একটি সার্টিক থেকে মাত্র চার মিনিটে স্বর্ণ বের করে আনা হয়। এ কাজে যে কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় তা ২০ বার পুনব্যবহার করা যায়।
বিশ্বব্যাপী ই-বর্জ্যের পরিমান বাড়ছে। জাতিসংঘের পরিবেশ প্রোগ্রামের তথ্যানুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বে ৫ কোটি টন ইলেকট্রনিক বর্জ্য তৈরি হয়। যার মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশ রিসাইকেল করা হয়। বাকীগুলো ফেলে দেওয়া অথবা পুড়িয়ে ফেলা হয়।
বিশ্বব্যাপী বাড়ছে পোর্টাবেল ডিভাইজের চাহিদা, সেই সঙ্গে বাড়ছে ইলেকট্রনিক বাজারের প্রসারতা। ২০১৯ সালে বিশ্ব ইকনোমিক ফোরামের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৫০ সালে বছরে ইলেকট্রনিক বর্জ তৈরি হবে ১২০ মিলিয়ন টন বা ১২ কোটি টন।
বিশ্বে প্রায় ৭ শতাংশ অব্যবহৃত স্বর্ণ ইলেকট্রনিক ডিভাইজের মধ্যে রয়েছে। আর এসব স্বর্ণ উত্তোলনের জন্য ইউরোপ বা এশিয়াতে ডিভাইজগুলো রপ্তানি করা হয়। কারণ এখানে উচ্চ তাপমাত্রায় ই-বর্জ্য গুলো গলানো সহজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।