লাইফস্টাইল ডেস্ক : জাপানের তরুণদের নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলতে হয়। ওই রুটিনের বাইরে তাদের যেতে দেওয়া হয় না। পরিবার থেকে সব সময় তাদের খেয়াল রাখা হয়। তার মানে এই নয় জাপানের তরুণদের সারাদিন পড়ালেখা করতে হয়।
বিশ্বব্যাপী জাপানের মানুষের আলাদা পরিচিতি আছে। সবাই বিশ্বাস করে তারা বিনয়ী ও পরিশ্রমী। আসলেই তাই, জাপানিরা সময়ের কাজ সময়ে শেষ করে। তাদের জীবন খুবই নিয়মতান্ত্রিক। কিন্তু তারা কেন এমন? কারণ খুব ছোট থেকেই তাদের এভাবে গড়ে তোলা হয়। বিশেষ করে তরুণ বয়সে তাদের বেশি বেশি নিয়মের মধ্যে রাখা হয়। এজন্য জাপানের তরুণরা পড়ালেখা থেকে শুরু করে সবকিছুতে অন্য দেশের তরুণদের চেয়ে বেশ এগিয়ে থাকে।
জাপানের তরুণদের নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলতে হয়। ওই রুটিনের বাইরে তাদের যেতে দেওয়া হয় না। পরিবার থেকে সব সময় তাদের খেয়াল রাখা হয়। তার মানে এই নয় জাপানের তরুণদের সারাদিন পড়ালেখা করতে হয়! তারা পড়ালেখার বাইরে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডসহ নানামুখী ব্যবহারিক শিক্ষা নিয়ে থাকে। এ ছাড়া বছরের অর্ধেক সময় ধরে চলে তাদের এক্সট্রা কারিকুলামের কার্যক্রম।
তারা পড়ালেখা শেষে দ্রুত চাকরিতে প্রবেশ করে। বিভিন্ন কোম্পানি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি মেলার আয়োজন করে। সেখান থেকে স্নাতক শেষ করা অনেক তরুণ চাকরি শুরু করে। বেশিরভাগ জাপানি তরুণ পড়া শেষ করে এভাবে চাকরি পেয়ে যায়। এর বাইরে অনেকে ব্যবসা শুরু করে। আমাদের দেশের মতো সবাই সরকারি চাকরির পেছনে ছুটে সময় নষ্ট করে না। বরং পড়া শেষ করেই আয়ের পথ বেছে নেয়।
তবে ভালো কোম্পানিতে চাকরি পেতে গেলে সেখানে ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়তে হয়। সেজন্য জাপানি তরুণরা হাইস্কুল লাইফ থেকে ব্যাপক পরিশ্রম করে। একটি ভালো হাইস্কুলে ভর্তি হওয়া মোটেও সহজ কথা নয়। সেখানে দিতে হয় ভর্তি পরীক্ষা। সেই পরীক্ষাতে ভালো করলে তারপর হাইস্কুলে ভর্তির সুযোগ মেলে।
সাধারণত জাপানে হাইস্কুলে একবারই ভর্তি পরীক্ষা হয়। সেখানে পাশ করতে না পারলে পরের বছর আবার পরীক্ষা দিতে হয়। বলা যায়, দেশটির তরুণদের মধ্যে হাইস্কুল জীবন থেকে তীব্র প্রতিযোগিতা শুরু হয়। অনেকে আবার সেই চাপ নিতে পারে না। তারা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়ে যে, কাউকে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। আবার আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে অনেকবার।
জাপানের তরুণরা যেমন পরিশ্রমী হয়, তেমন সামাজিকও হয়। তারা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে পছন্দ করে। পরিবারের সবার সঙ্গে বেড়াতে পছন্দ করে। প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের খোঁজ-খবর রাখে। তারা মা-বাবাসহ
গুরুজনদের খুবই সম্মান করে। তাদের সঙ্গে সবসময় বিনয়ী ও ভদ্র আচরণ করে। গুরুজনদের সব সময় সম্মান করে। অবশ্য এই শিক্ষা ওদের খুব ছোটবেলা থেকে শেখানো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।