লাইফস্টাইল ডেস্ক : ডিম এমন কয়েকটি খাবারের মধ্যে একটি, যেটিকে ‘সুপারফুড’ বললে ভুল হবে না। কেননা, ডিম পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে অন্যতম। ঝটপট কোনো খাবার খেতে চাইলে বা যদি চিন্তা থাকে পুষ্টিকর হবে কি না, তবে ডিম একটি সেরা খাবার। ডিমে আছে শরীরের চাহিদা মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় ৯টি অ্যামিনো অ্যাসিড। এ ছাড়া ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ, ডি, ই এবং বি১২, অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, কোলিনসহ পুষ্টির প্রাকৃতিক উৎস ডিম। এটি সংরক্ষণ করতে তেমন ঝামেলা পোহাতে হয় না বলে সবার ঘরে ঘরে এখন ডিম থাকে। ডিম ফ্রিজে রাখলে বেশ কয়েক দিন ভালো থাকে। তবে যদি ফ্রিজ না থাকে বা ডিম বাইরে রাখা হয়, তবে ডিম কত দিন ভালো থাকে?
অনেক দেশে ডিম ফ্রিজে না রেখে বিক্রি করা হয়। সুপারশপের রেফ্রিজারেটরে ডিম রাখার পরিবর্তে কাউন্টারে রাখা হয়। এতে চোখের সামনে ডিম থাকায় বিক্রি বাড়ে।
যদি মুরগির খামার থেকে সংগ্রহ করা তাজা ডিম কখনো ফ্রিজে না রাখা হয়, তবে কাউন্টারে বা অন্য কোনো শীতল জায়গায় প্রায় এক সপ্তাহের জন্য ডিম ভালো থাকতে পারে। কিন্তু একবার রেফ্রিজারেট করলে খুব বেশি সময় ধরে বাইরে রেখে দিলে ডিম নষ্ট হয়ে যায়। ডিমগুলো প্রক্রিয়াজাত করার পদ্ধতির কারণে এমনটা হয়। খামার থেকে বের করে ধুয়ে ফেলার মতো কাজ করলে ডিমে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া আক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
ডিমগুলো খামার থেকে বের হওয়ার আগেও সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া দিয়ে দূষিত হতে পারে। এই ঝুঁকির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ডিমগুলো বাজারে পাঠানোর আগে ভালোভাবে ধুয়ে, শুকিয়ে, স্যানিটাইজ ও রেফ্রিজারেট করতে বলে চাষিদের।
এই প্রক্রিয়া ডিমের খোলস থেকে সম্ভাব্য কয়েক রকম সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া সরিয়ে দেয়। তবে ডিমের খোলস এ প্রক্রিয়ার ফলে সামান্য পাতলা হয়, এভাবে কমে যায় প্রাকৃতিক সুরক্ষা। ডিমে যেন কোনো নতুন ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করতে না পারে, তাই ফ্রিজে রাখা হয়। কারণ, স্বাভাবিক কক্ষতাপমাত্রায় সালমোনেলা বৃদ্ধি পায়। ৪০ থেকে ১৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে বেড়ে যায় এই ব্যাকটেরিয়া।
কাঁচা ডিম না খাওয়ার কারণও কিন্তু এই সালমোনেলা। সালমোনেলার সংক্রমণের ১২ ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা পর ডিম খেলে যেকোনো সমস্যা হতে পারে। এর মধ্যে আছে ডায়রিয়া, জ্বর, পেটে খিঁচুনি ও বমি। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া অনেক গুরুতর হতে পারে। এফডিএর অনুমান, সালমোনেলা দিয়ে দূষিত ডিমের কারণে প্রতিবছর প্রায় ৭৯ হাজার অসুস্থতার ঘটনা ঘটে। প্রায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়। তাই কোনো রকম সন্দেহ থাকলে সেটি না খাওয়াই উত্তম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।