বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : র্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমোরি বা র্যাম দেখে বেশিরভাগ মানুষ ফোন কেনেন। তাদের ধারণা ফোনের র্যাম যত বেশি পারফরমেন্স তত বেশি। এই ধারণা পুরোপুরি মিথ্যাও নয়। ফোনে থাকার র্যাম এই ডিভাইস পরিচালনার জন্য সহায়ক। কিন্তু এর পাশাপাশি প্রসেসরও গুরুত্বপূর্ণ। তবুও বেশিরভাগ মানুষ র্যাম দেখেই ফোন কেনেন। অনেকের মনে প্রশ্ন ফোনে আদর্শ র্যাম কত জিবি? কত জিবি র্যাম থাকলে ফোন কেনা উচিত?
অনেক ক্রেতাই বেশি পরিমাণ র্যাম ও স্টোরেজ দেখে আকর্ষিত হন। কিন্তু এটা ফোন নির্মাতা কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়ীক কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়।
ফোন কেনার আগেই কোন কোন কাজে সেটি ব্যবহার করা হবে সে বিষয়ে ধারণা থাকা প্রয়োজন। যদি গান শোনা, ছবি দেখা, গেম খেলা, সোশ্যাল মিডিয়া ও ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের মধ্যেই ফোনের ব্যবহার সীমাবদ্ধ থাকে তাহলে ৮ জিবি র্যামের ফোন কেনার যৌক্তিকতা নেই।
ফোনের গতি নিশ্চিত করতে প্রসেসর ও সফটওয়্যার অপ্টিমাইজেশনই মূল ভূমিকা পালন করে থাকে। র্যাম বেশি থাকলেই ফোনের গতি বা পারফরম্যান্স ভালো হবে এমন কোনো কথা নেই।
একই ব্যবহারকারী যদি ৬ জিবি ও ৮ জিবি র্যামের দুইটি আলাদা ফোন ব্যবহার করেন তাহলে সহজেই তিনি বুঝতে পারবেন ফোন দুইটির গতি ও পারফরম্যান্সে তেমন কোনো পার্থক্য নেই।
আপনি যদি ফোন দিয়ে গেমস খেলতে চান তবে অধিক র্যামের ফোন কেনাই ভালো। কিন্তু সাধারণ ব্যবহারের জন্য ৩ থেকে ৪ জিবি র্যামের ফোনই যথেষ্ট।
র্যামের পাশাপাশি ফোনের প্রসেসর, জিপিইউ, স্টোরেজ এবং ডিসপ্লে দেখেও ফোন কেনা উচিত। এছাড়াও ফোনটি যেনো অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের হালনাগাদ ভার্সনের হয়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।