স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিকেট বিশ্বকাপ দামামার সুরে পুরো ক্রিকেট দুনিয়া রোমাঞ্চ-উত্তেজনায় কম্পমান। অপেক্ষা মাঠের লড়াইয়ের রোমাঞ্চে ডুবে যাওয়ার। সেই অপেক্ষার শেষ হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ২০১৯ বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে।
১০ দলের টুর্নামেন্টের ম্যাচ হবে মোট ৪৮টি। ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ভারতের ভিন্ন ১০টি শহরের ভিন্ন ১০টি স্টেডিয়ামে। এই প্রতিবেদনে আমরা জানব সেই ১০টি ভেন্যুর নাম, কোন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে কতটি ম্যাচ এবং কোন ভেন্যুর দর্শক ধারণক্ষমতা কত।
১. নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম, আহমেদাবাদ:
এই স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ১ লাখ ৩২ হাজার। আগামীকালের (৫ অক্টোবর) ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী ম্যাচের পাশাপাশি ১৯ নভেম্বর ফাইনালও অনুষ্ঠিত হবে এই স্টেডিয়ামে। সব মিলে এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে পাঁচটি ম্যাচ। এই মাঠে খেলার স্বাদ পেতে হলে বাংলাদেশকে উঠতে হবে ফাইনালে।
২. রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, হায়দরাবাদ:
দর্শক ধারণক্ষমতা ৫৫ হাজার। এই মাঠে মোট ম্যাচ হবে ৩টি। এই স্টেডিয়ামে খেলার কোনো সুযোগই নেই বাংলাদেশের।
৩. এইচপিসিএ স্টেডিয়াম, ধর্মশালা:
এবারের বিশ্বকাপের ১০ ভেন্যুর মধ্যে সবচেয়ে ছোট স্টেডিয়াম। দর্শক ধারণক্ষমতা মাত্র ২৩ হাজার। এখানে অনুষ্ঠিত হবে পাঁচটি ম্যাচ, যার দুটিতে খেলবে বাংলাদেশ। এবারের আসরে বাংলাদেশের প্রথম দুটি ম্যাচই এই মাঠে। ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানের বিপক্ষে এবং ১০ অক্টোবর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। দুটি ম্যাচই শুরু হবে বেলা ১১টায়।
৪. অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম, দিল্লি:
দর্শক ধারণক্ষমতা ৪১ হাজার ৮৪২। মোট ম্যাচ হবে পাঁচটি। এখানে বাংলাদেশের ম্যাচ আছে একটি। ৬ নভেম্বর, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
৫. এম এ চিদাম্বরাম স্টেডিয়াম, চেন্নাই:
দর্শক ধারণক্ষমতা ৫০ হাজার। এখানেও ম্যাচ হবে মোট পাঁচটি। তার একটিতে খেলবে সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশ। ১৩ অক্টোবর, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
৬. বিআরএসএবিভি একানা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, লখনউ:
দর্শক ধারণক্ষমতা ৫০ হাজার। মোট ম্যাচ হবে পাঁচটি। এই স্টেডিয়ামেও বাংলাদেশ কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে না।
৭. এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম, বেঙ্গালুরু:
দর্শক ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার। এখানেও মোট ম্যাচ হবে পাঁচটি। এই মাঠেও বাংলাদেশ কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে না।
৮. মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম, পুনে:
দর্শক ধারণক্ষমতা ৩৭ হাজার ৪০৬। মোট ম্যাচ হবে পাঁচটি, যার দুটিতে খেলবে বাংলাদেশ। ১৯ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে এবং ১১ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
৯. ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম, মুম্বাই:
দর্শক ধারণক্ষমতা ৩২ হাজার। প্রথম সেমিফাইনালসহ ম্যাচ হবে মোট পাঁচটি। ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালের এই ভেন্যুতে বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বেই একটি ম্যাচ খেলবে। ২৪ অক্টোবর, প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রুপ পর্বের পয়েন্ট তালিকার ১ অথবা ৪ নম্বরে থেকে সেমিফাইনালে উঠতে পারলে বাংলাদেশের সুযোগ মিলবে প্রথম সেমিফাইনাল খেলারও।
১০. ইডেন গার্ডেনস, কলকাতা:
দর্শক ধারণক্ষমতা ৬৬ হাজার। দ্বিতীয় সেমিফাইনালসহ মোট পাঁচটি ম্যাচ হবে। গ্রুপ পর্বেই যার দুটিতে খেলবে বাংলাদেশ। ২৮ অক্টোবর নেদারল্যান্ডস এবং ৩১ অক্টোবর পাকিস্তানের বিপক্ষে। গ্রুপ পর্বের পয়েন্ট তালিকার ২ বা ৩ নম্বরে থেকে সেমিফাইনালে উঠতে পারলে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালেও খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।