বিনোদন ডেস্ক : ২০০২ সালে হরনাথ চক্রবর্তীর ‘সাথী’ ছবির হাত ধরে টলিউড পা রেখেছিলেন জিৎ। এই ছবির তুমুল সাফল্য রাতারাতি জনপ্রিয়তার শিখরে তুলে দেয় জিৎকে। এরপর কেটে গিয়েছে প্রায় ২০ টা বছর। দীর্ঘ এই ২ দশকে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা আরও পাকাপোক্ত করে গড়ে তোলেন অভিনেতা। এখন তিনি ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতাদের মধ্যে একজন।
শুধু প্রথম ছবি সুপারহিট নয়, জিৎ টলিউডে যে কটি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন তার মধ্যে প্রায় সবকটাই সাফল্যের মুখ দেখেছে। কাজেই প্রত্যেক ছবি হিট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে তার পারিশ্রমিকের অংকটা। এখন তার সম্পত্তির পরিমাণটাও আকাশ ছোঁয়া। জানেন এখন ছবি পিছু কত টাকা নিচ্ছেন তিনি?
টলিউডের এই সুপারস্টার প্রথমে কিন্তু তার কেরিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন বলিউডে। বাংলা ছবিতে অভিনয় করলেও আসলে তিনি হলেন একজন অবাঙালি। তার আসল নাম জিতেন্দ্র মাদানানী। জিৎ তার কেরিয়ারের শুরুতে কিছু হিন্দি ছবিতে কাজ করেন। কিন্তু সেগুলো থেকে তেমন সাফল্য আসেনি তার হাতে। তিনি একটি তেলেগু ছবি ‘চাঁদু’তেও অভিনয় করেন। কিন্তু সেটাও ব্যর্থ হয়।
এরপর ২০০১ সালে কলকাতায় আসেন জিৎ। পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী তখন তার নতুন সিনেমার জন্য নতুন নায়কের মুখের সন্ধানে ছিলেন। জিৎকে তার পছন্দ হয়ে যায়। ব্যাস, এই একটি সুযোগ তাকে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সেরা নায়কে পরিণত করে দেয়। ‘সাথী’ ছবি সেই সময় সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ১২ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল।
জিত তার এই জয়ের ধারা কিন্তু পরবর্তী ছবিগুলির ক্ষেত্রেও ধরে রেখেছিলেন। তার জোশ, শত্রু, দুই পৃথিবী, ফাইটার, পাওয়ার,বচ্চন,১০০% লাভ, সুলতান দ্য সেভিয়ার, আওয়ারা ছবিগুলিও বক্স অফিসে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করে। এখন ইন্ডাস্ট্রিতে ছবি পিছু তার পারিশ্রমিক ৪০ লক্ষ টাকা। জিত তার নিজেরই প্রোডাকশনের আওতায় কমার্শিয়াল ছবি বানাচ্ছেন এখন।
বর্তমানে জিতের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, ইন্ডাস্ট্রির অপর দুই নামি নায়ক দেব এবং প্রসেনজিতের সম্পত্তি ও পারিশ্রমিক জিতের তুলনায় বেশি বলেই শোনা যায়। দেব ছবি পিছু ১ থেকে ২ কোটি টাকা চার্জ করেন এখন এবং প্রসেনজিৎ নেন ৮৫ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে দেবের সম্পত্তির পরিমাণ এখন ৯৭ কোটি টাকা এবং খোদ ইন্ডাস্ট্রি প্রসেনজিতের কাছে রয়েছে ৪২০ কোটি টাকার সম্পত্তি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।