জুমবাংলা ডেস্ক : জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জন্য সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। প্রস্তাবিত বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হচ্ছে না। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছর পর্যন্ত তিন লাখ ৫০ হাজার টাকাই থাকছে করমুক্ত আয়। তবে স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা, ফার্ম ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের জন্য কর ধাপ ও করহার পুনর্নিধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট উপস্থাপনে এই প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বাজেট প্রস্তাবনায় স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা, ফার্ম ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের করমুক্ত আয়ের সীমা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা, ফার্ম ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের জন্য কর ধাপ সমন্বয় করে বিদ্যমান সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশে নির্ধারণ করা হবে। এ ছাড়া স্বনির্ধারণী ব্যবস্থায় রিটার্ন দাখিলের বিধান চালু করা হবে।
রিটার্ন জমার সময় সর্বোচ্চ এক মাস বাড়াতে পারবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী, আয়ের প্রথম সাড়ে তিন লাখ টাকার ওপর কোনো কর দিতে হবে না। পরবর্তী এক লাখ টাকার ওপর ৫ শতাংশ, পরবর্তী তিন লাখ টাকায় ১০ শতাংশ, পরবর্তী চার লাখ টাকায় ১৫ শতাংশ, পরবর্তী পাঁচ লাখ টাকার ওপর ২০ শতাংশ এবং বাকি আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ আয়কর দিতে হবে। এতে নারী ও ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে চার লাখ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রতিবন্ধীদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে চার লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে চার লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং একই সঙ্গে কোনো প্রতিবন্ধীর পিতা-মাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের ক্ষেত্রে প্রত্যেক সন্তান বা পোষ্যের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৫০ হাজার টাকার করার কথাও বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন : দাম কমল ল্যাপটপের
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী জানান, আগামী অর্থবছরেও ব্যক্তির আয়ের প্রথম সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয় করমুক্ত এবং পরবর্তী এক লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ৫ শতাংশ কর নির্ধারণ করা হয়েছে। পরবর্তী চার লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ১০ শতাংশ, পরবর্তী পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ, পরবর্তী পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ২০ শতাংশ, পরবর্তী ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ এবং অবশিষ্ট আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর নির্ধারণ করা হয়েছে।
বর্তমানে ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকা ও সিটি করপোরেশনের বাইরের এলাকায় ব্যক্তির ন্যূনতম কর অপরিবর্তিত থাকছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।