Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home যেভাবে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল এস আলম গ্রুপ
    Bangladesh breaking news জাতীয়

    যেভাবে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল এস আলম গ্রুপ

    Saiful IslamAugust 12, 2024Updated:August 13, 20248 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল)-কে একসময় ধরা হতো বাংলাদেশের সেরা ব্যাংক হিসেবে। খুবই সামান্য মন্দ ঋণ, ব্যাংকিং বিধিবিধান প্রতিপালন, পর্যাপ্ত তারল্য ও গ্রাহকের অগাধ আস্থা অর্জন ছিল ব্যাংকিং কার্যক্রমের অসামান্য পারফর্ম্যান্সের ট্র্যাক রেকর্ড।

    জানা গেছে, ২০১৫ সালে দেশের মোট প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সের ২৭ শতাংশ এসেছিল এই ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকখাতের অভ্যন্তরীণরা বলেছেন, সেসময় দেশের পাঁচ ভাগের একভাগ বস্ত্র ও তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানকে অর্থায়ন করতো আইবিবিএল। ব্যাংকিং সেবা দিয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ ও স্বনামধন্য কর্পোরেট গ্রুপগুলোকে।

    আজকে ব্যাংকটির হালচিত্র আগের থেকে সম্পূর্ণই উল্টো। যে ব্যাংকের কাছে একসময় বিপুল তারল্য বা নগদ অর্থ ছিল– এখন সেটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ন্যূনতম যে মূলধন সংরক্ষণের বিধান– তা পূরণেই হিমশিম খাচ্ছে। এমনকি জরুরি তহবিলের জন্য হাত পাততে হচ্ছে সেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বারেই। ব্যাংকখাতের এই জায়ান্ট এমন দুর্দশাজনক অবস্থায় নামলো কীভাবে? যেভাবে তা ঘটলো, তারই বর্ণনা থাকছে এই প্রতিবেদনে।

    ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল) এর নিয়ন্ত্রণ কিভাবে নেয়া যায় এর ছক কষা হয়েছিল বহু বছর ধরে। তবে এই নীল নকশার বাস্তবায়ন শুরু হয় ২০১৩ সালে এসে, যখন ব্যাংকটির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী তৎপরতায় অর্থায়নের প্রচারণা চালানো হয়। পর্যায়ক্রমে রূপ নিতে থাকে একটি বয়ান, যখন একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান- ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের সম্পৃক্ততা (কথিত) খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

    এসময়ে অর্থাৎ ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন শামসুল হক টুকু, অপপ্রচারের এই আগুনে ঘি ঢালার কাজটি তিনিই করেন। ২০১৩ সালে এক বৈঠকের পরে ক্যামেরার সামনে জনসম্মুখে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি দাবি করে বসেন, ইসলামী ব্যাংকের ৮ শতাংশ অর্থায়নই সন্ত্রাসবাদ সংশ্লিষ্ট। তার এই মন্তব্য সমূলে আন্দোলিত করে ব্যাংকখাতকে।

    এর প্রতিক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আতিউর রহমান প্রধান প্রধান বিদেশি ব্যাংকগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক জরুরি সভাও করেন। যেখানে তিনি প্রতিমন্ত্রীর কথায় কান না দিয়ে সবাইকে আইবিবিএলের সাথে তাদের ব্যবসা চালু রাখার অনুরোধ করেন।

    ইসলামী ব্যাংকের তৎকালীন সময়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) ছিলেন মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান। এ ধরনের চাপের মুখে তিনি টুকুর বাসভবনে যান তার সাথে দেখা করতে। প্রতিমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাও করেন, ‘স্যার আপনি এটা কীভাবে বলতে পারলেন? আপনার মন্তব্য সার্বিকভাবে আমাদের ব্যবসা, বিশেষত ইন্টারন্যাশল অপারেশনের (আন্তর্জাতিক কার্যক্রম) জন্য মারাত্মক।”

    ওই সময়ে টুকুর উত্তর দিয়েছিলেন: ‘মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে।’

    বিরোধী দলগুলো ২০১৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করার পরে– টানা দ্বিতীয়বার যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে– তখন নতুন মাত্রা পায় ইসলামী ব্যাংকের দখল নেওয়ার প্রচেষ্টা। তখন ক্ষমতাধর ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সামনে এগোনোর রাস্তা খুলে যায়।

    ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ব্যাংকের অস্থিতিশীল অবস্থা ও অবনতির সাক্ষী আইবিবিএল’ এর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা স্মরণ করেন, ‘তখনও দৃশ্যপটে এস আলম গ্রুপ ছিল না। প্রথমে পরিকল্পনা করা হয়, রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ এবং পেশাদার তিন থেকে চার জন স্বাধীন পরিচালককে নিয়োগ দেওয়া হবে।’ তবে ২০১৫ সালে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায়নি বলে দেশের একটি স্বনামধন্য গণমাধ্যমকে জানান তিনি।

    ২০১৬ সালের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে, আইবিবিএল এর স্বাধীন চার পরিচালক নিয়োগের অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন এম আজিজুল হক, আইবিবিএল’ এর প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক; অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান; হেলাল আহমেদ চৌধুরী, পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী; এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজাল। এই পরিচালকদের একজন ব্যাংকের অডিট বা নিরীক্ষার প্রতিবেদনগুলো নিয়ে শত শত আপত্তি তুলতে থাকেন, এর মধ্যে দিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয় ব্যাংকটি দখলের ভিত্তি।

    এরপর দ্রুতই সব পরিবর্তন ঘটানো হয়। ২০১৬ সাল নাগাদ কেবলমাত্র কাগজে কলমে অস্তিত্ব আছে, এমন নতুন নিবন্ধিত কিছু কোম্পানির মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার কেনা শুরু করে এস আলম গ্রুপ। এর ফলে ব্যাংকের ভিতরে তাঁদের প্রভাব বিস্তারের নতুন অধ্যায় শুরু হয়।

    এস আলম সংশ্লিষ্ট সাতটি কোম্পানি শেয়ার কিনে ব্যাংকের পরিচালক নিয়োগের ক্ষমতা পায়। ফলে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বা বোর্ডে তাদের নিয়ন্ত্রণ হয় সুসংহত। অথচ ২০১৬ সালে সবেই এই সাতটি কোম্পানি জয়েন্ট স্টক কোম্পানির নিবন্ধন নিয়েছিল। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে: এক্সেল ডায়িং অ্যান্ড প্রিন্টিং লিমিটেড, আরমাডা স্পিনিং মিল লিমিটেড, এবিসি ভেঞ্চার্স লিমিটেড, গ্রান্ড বিজনেস লিমিটেড, প্ল্যাটিনাম এন্ডেভারস, প্যারাডাইজ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, এবং ব্লু ইন্টারন্যাশনাল।

    সে সময়ে ব্যাংকের সিনিয়র নির্বাহী থাকা আরেক কর্মকর্তা দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জীবনে যেসব কোম্পানির নামই শুনিনি তারা প্রত্যেকে শত কোটি টাকার বেশি শেয়ার কিনেছিল। অথচ এরা কারা? তারা কীসের ব্যবসা করে? কোথা থেকে এত টাকাকড়ি পেল? – তা জানতে কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা তদন্ত করার কথাও ভাবেনি!’

    বিদ্যুৎখাতের জায়ান্ট ইউনাইটেড গ্রুপ ৩ কোটি ২৫ লাখের বেশি শেয়ার কিনেছিল, যা ছিল ইসলামী ব্যাংকের মোট শেয়ারের ২ শতাংশের বেশি। এভাবে তারা পরিচালক বোর্ডের সদস্য হয়। কিন্তু এস আলম গ্রুপ আরো আগ্রাসীভাবে আইবিবিএল এর শেয়ার কিনতে শুরু করলে, পুঁজিবাজারেও বেড়ে যায় ব্যাংকটির শেয়ারদর। এখানে সুযোগ দেখে, ইউনাইটেড গ্রুপ তাদের হাতে থাকা সমস্ত শেয়ার বিক্রি করে দেয়। এই বিক্রি থেকে মাত্র কয়েক মাসেই তারা অন্তত ২০ কোটি টাকা আয় করে।

    ইসলামী ব্যাংকে ৫ জানুয়ারির ক্যু
    ব্যাংকটির সামনে আরো প্রতিকূল সময় আসছে এমনটা অনুধাবন করে ইসলামী ব্যাংকের স্পন্সরদেরও অনেকে তাদের শেয়ার বিক্রি করতে শুরু করেন। পুঁজিবাজার থেকে শেয়ার কিনে নেওয়ার পরে আইবিবিএল এর প্রায় পাঁচভাগের একভাগ শেয়ার চলে আসে এস আলমের হাতে। ফলে এই ব্যবসায়ী গোষ্ঠী হয়ে ওঠে অপ্রতিরোধ্য ক্রীড়ানক। এরপরে গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ ক্ষমতা ও রাজনীতিকে কাজে লাগিয়ে ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। এই দখলের নৈরাজ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়েছিল।

    যেমন ২০১৭ সালের এক প্রতিবেদনে ইকোনমিস্ট উল্লেখ করে: একটি গুপ্তচর সংস্থার এধরনের কাজ করাটা সত্যিই অদ্ভূত। ৫ জানুয়ারি (২০১৭) সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান, একজন ভাইস-চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ফোন করেন। এরপর তাদের বাসভবন থেকে উঠিয়ে নিয়ে আসা হয় ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত সংস্থাটির সদর দপ্তরে। সেখানকার অফিসাররা ভদ্রতার সাথে এই ব্যাংকারদের তাঁদের পদত্যাগপত্র দেন, এবং তাতে সই করতে বলেন। যেটা তারা করেনও। এর কয়েক ঘন্টা পরেই সেনা গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের নাকের ডগায় সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন একটি হোটেলে বসেই এক সভা করে ব্যাংকের বোর্ড; যেখানে পদত্যাগ করা পরিচালকদের স্থলাভিষিক্ত কারা হবেন তা নির্ধারণ করা হয়।

    একইদিনে আরমাডা স্পিনিং মিলের প্রতিনিধিত্বকারী ও সাবেক আমলা আরাস্তু খানকে ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়, আর ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল হামিদ মিয়াকে করা হয় আইবিবিএল এর নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক। একইদিনে আইবিবিএল এর অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি) আকস্মিক এই পরিবর্তন আনার কারণে তাদের প্রায় ৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। ওই সময়ে ইসলামী ব্যাংকে আইডিবির ৭.৫ শতাংশ অংশীদারত্ব ছিল।

    এস আলম গ্রুপের হাতে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগীর ভূমিকা পালন করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একদল সিনিয়র কর্মকর্তা। এদেরই একজন এবং মূল সহযোগী ছিলেন তৎকালীন ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারকে চারটি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা পাচারে সহযোগিতা করার অভিযোগও আছে। রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সম্পূর্ণ মালিকানা এস আলম গ্রুপের। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকেও আছে তাদের জোর প্রভাব।

    ইসলামী ব্যাংককে যেভাবে নিজস্ব ঋণের যন্ত্র বানাল এস আলম গ্রুপ
    ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি ইসলামী ব্যাংকের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগেই ব্যাংকটির চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক ছিল এস আলম গ্রুপ। তাঁদের ঋণ ছিল প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার। কিন্তু, নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে ইসলামী ব্যাংক থেকে এ শিল্পগোষ্ঠীর নেওয়া ঋণ আকাশচুম্বী হয়।

    আইবিবিএল এর ২০১৬ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, এস আলম গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠান– এস আলম স্টিল অ্যান্ড রিফাইনড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ, এস আলম ভেজিটেবল অয়েল এবং এস আলম সুপার এডিবল অয়েল ছিল ব্যাংকের শীর্ষ ২০ ঋণগ্রহীতার মধ্যে। তবে ২০২০ সাল নাগাদ এস আলমের আরও দুটি কোম্পানি যুক্ত হয় শীর্ষ ঋণগ্রহীতার তালিকায়। ২০২১ সালে যুক্ত হয় আরও চারটি।

    ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপের ঋণের চিত্র হচ্ছে: ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এস আলম স্টিলস অ্যান্ড রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ ৪ হাজার ২১৭ কোটি টাকা, এস আলম ভেজিটেবল অয়েল ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা, এস আলম সুপার এডিবল অয়েল ৩ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা এবং এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলসের প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা পেত ইসলামী ব্যাংক। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ এই চারটি কোম্পানি মোট ১৪ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যা তাদের সাত বছর আগে নেওয়া ঋণের চেয়ে সাড়ে তিনগুণ বেশি।

    কেবল এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠানই ইসলামী ব্যাংক থেকে বড় ঋণ নেয়নি; গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোও বিপুল অংকের ঋণ নিয়েছে। যেমন তার ছেলে আহসানুল ইসলামের মালিকানাধীন ইনফিনিট সিআর স্ট্রিপস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছে ইসলামী ব্যাংক পাবে ১ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা। সাইফুল আলমের জামাই বেলাল আহমেদের ইউনিটেক্স এলপি গ্যাস নিয়েছে ১ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার ঋণ। সাইফুল আলমের ভাগ্নে মোস্তান বিল্লাহ ও তার স্ত্রী সাদিয়া জামিল প্রত্যেকে ১ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছেন তাদের কোম্পানি আদিল কর্পোরেশন ও সাদিয়া ট্রেডার্সের নামে।

    ইসলামী ব্যাংকের ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, এস আলম গ্রুপ এবং এর চেয়ারম্যানের স্বজনদের নেওয়া মোট ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। যদিও ব্যাংকখাতের অভ্যন্তরীণরা জানান, প্রকৃত অঙ্ক আরও অনেক বেশি হবে, কারণ অনেক ঋণই এমন সব কোম্পানির নামে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে– যাদের অস্তিত্ব আছে কেবল কাগজে-কলমে।

    এসব ঋণের বেশিরভাগেরই অনুমোদন করা হয় মাহবুবুল আলমের মেয়াদে, যিনি ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। ইসলামী ব্যাংকে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন মাহবুবুল। এই ব্যাংকও নিয়ন্ত্রণ করে এস আলম গ্রুপ।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘জাতীয় bangladesh, breaking news আলম ইসলামী এস গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল, প্রভা ব্যাংকের যেভাবে
    Related Posts
    গোপালগঞ্জ ইউএনওর গাড়ি

    গোপালগঞ্জে এবার ইউএনওর গাড়ি বহরে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ -আ.লীগের হামলা

    July 16, 2025
    এনসিপির তাসনিম জারা

    গোপালগঞ্জ ইস্যুতে যা বললেন এনসিপির তাসনিম জারা

    July 16, 2025
    Police

    ওসি পদায়নে ২২ দফা নীতিমালা, ছয় বছরের বেশি ওসি নয়

    July 16, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Bird

    ছবিটি জুম করে দেখুন কি লুকিয়ে রয়েছে এই গাছের ডালে

    Metro In Dino

    Metro… In Dino Day 12 Box Office Collection: A Steady Climb Continues

    গোপালগঞ্জ ইউএনওর গাড়ি

    গোপালগঞ্জে এবার ইউএনওর গাড়ি বহরে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ -আ.লীগের হামলা

    iqoo z10r

    iQOO Z10R Set to Launch on July 24 with Flagship Features

    সালমান খান

    জটিল রোগে আক্রান্তের কথা জানালেন সালমান খান

    এনসিপির তাসনিম জারা

    গোপালগঞ্জ ইস্যুতে যা বললেন এনসিপির তাসনিম জারা

    Police

    ওসি পদায়নে ২২ দফা নীতিমালা, ছয় বছরের বেশি ওসি নয়

    james gunn superman movie

    James Gunn’s Superman Soars At The Box Office: Day 5 Collections in India & Worldwide

    Elmo

    Elmo Breaks Silence After X Hack: A Story of Kindness, Chaos, and Online Vulnerability

    জয় বাংলা স্লোগান

    ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে হামলা

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.