জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অধীনে অনুষ্ঠিত বিসিএস ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে। ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সুযোগ নিয়ে চাকরি বাগিয়েছেন প্রথম শ্রেণির অনেক কর্মকর্তাও। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে দেশজুড়ে আলোড়ন তোলা প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে গ্রেপ্তার আসামিদের বয়ানে।
৩৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা, ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তরে উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষা, পলিটেকনিক্যাল কলেজের জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের তথ্য উঠে আসে আসামিদের বয়ানে।
সবশেষ রেলওয়ের দশম গ্রেডের উপসহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগের প্রশ্নপত্র ট্রাংকের তালা কেটে পিএসসির অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম সাজু ফাঁস করেছেন বলে আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন।
প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ইতোমধ্যে পিএসসির দুই উপপরিচালক ও সাবেক গাড়িচালকসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
রেলওয়ের প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস করে পিএসসির অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলামের ১ কোটি ২১ লাখ টাকা নেওয়ার হিসাব পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পিএসসির সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলী দেন ৭৫ লাখ, খলিল ৪৫ লাখ ও ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান সোহেল দেন ১ লাখ টাকা। কয়েক মাস আগে এই চক্রের হাতেই ফাঁস হয় পলিটেকনিক্যাল কলেজের জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদের প্রশ্নপত্র।
এ ছাড়া রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদে চাকরি দিতে ৪৪ প্রার্থীর সঙ্গে ৮-১০ লাখ টাকার চুক্তি করেন। তাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে পরীক্ষার দুই দিন আগে রমনা পার্কের গেটে সাজেদুলকে ৭৫ লাখ টাকা দিয়ে প্রশ্নপত্র নিয়ে ‘বুথ করে’ প্রার্থীদের পড়ান। সেই প্রশ্নই পরীক্ষায় হুবহু মিলে গেছে।
রেলওয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে সাজেদুল বলেন, তিনি একটি হেক্সব্লেড দিয়ে প্রশ্নপত্র রাখা ট্রাংকের তালা কাটেন। এরপর প্রশ্নপত্র বের করে নষ্ট তালা লাগিয়ে রাখেন। যেটি যেকোনো চাবিতেই খোলে।
সাজেদুল আরও জানান, রেলওয়ের পরীক্ষার জন্য খলিলুর ৯৮ জন প্রার্থীর জন্য দিয়েছিলেন ৪৫ লাখ টাকা। আবেদ আলী দেন ৭৫ লাখ। এ ছাড়া আবু সোলায়মান সোহেল এক লাখ টাকা দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।