জুমবাংলা ডেস্ক : বাউ-সালাদকচু (Colocasia gigantea) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় জার্মপ্লাজম সেন্টার কর্তৃক উদ্ভাবিত একটি জাত। ইহা একটি অপ্রচলিত কন্দ জাতীয় উদ্ভিদ যা গাছের ছায়ায় চাষ করতে পারেন। সেইসাথে দ্বিগুণ লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।
সেমি.। অতিরিক্ত ঠান্ডা অর্থাৎ জানুয়ারি মাসে রোপণ না করলেও চলে।
সার প্রয়োগ : সাধারণত জৈবসার দিলেই চলে। গোবর ১৫ টন/হেক্টর ব্যবহার করা যেতে পারে। জমি তৈরির সময় শেষ চাষের পরে গোবর সার মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে।
আন্তঃপরিচর্যা : আগাছা ১ সপ্তাহ পরপর পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে পানি সেচ ও নিষ্কাশন করতে হবে। খড়া মৌসুমে চারা লাগানো হলে প্রাথমিক বৃদ্ধি পর্যায় পানি সেচ প্রয়োজন। দেড় থেকে দুই মাস পর চারা পাতলাকরণ করে অন্য জায়গায় লাগাতে হবে।
রোগবালাই : সালাদ কচুর তেমন কোনো রোগবালাই নাই। তবে কবুতর ও মুরগি কচিপাতা ভক্ষণ করতে পারে। তাই জাল ব্যবহার করা যেতে পারে।
ফসল সংগ্রহ : সারা বছরই নতুন লাগানো চারা থেকে পাতা-ডাঁটা, সবজি হিসেবে সংগ্রহ করা যায়। করম আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে সংগ্রহ করা যায়, যখন গাছগুলো হলুদ হয়ে যায় বা মারা যায়। হেক্টরপ্রতি ৩০-৪০ টন করম পাওয়া যায়। বাউ-সালাদকচু কাঁচা অবস্থায় সালাদ হিসেবে ভক্ষণযোগ্য এবং রান্না করে সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ফসল সংরক্ষণ : সাধারণত মুখী কচুর মতোই কন্দমুখী বীজ, সাকার/ছোট চারা বীজ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এই জন্য ছোট কন্দ যদি ভিজা থাকে তবে হালকা রৌদ্রে শুকিয়ে ঠাণ্ডা স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে।
প্রযুক্তির সুবিধা: বাউ-সালাদকচু বাংলাদেশের আদিবাসীগণ গ্রীষ্মকালীন সবজি ফসল হিসেবে চাষ করে আসছে এবং পার্বত্য অঞ্চলের পাশাপাশি সমতল ভূমি অঞ্চলে কলা ও আনারস দিয়ে আন্তঃফসল হিসেবে বৃদ্ধি পেতে পারে। বাংলাদেশে COVID-19 মহামারির সময়ে উদীয়মান খাদ্য নিরাপত্তা সংকট, পরিবেশকে রক্ষা ও জাতিকে স্বাস্থ্যকর খাদ্য সরবরাহের জন্য কৃষি খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থাকে সালাদ কচুর মতো অপ্রচলিত ফসল দিয়ে বৈচিত্র্য আনা দরকার।
সালাদ কচু সকলের জন্য গ্রহণযোগ্য এবং পুষ্টিকর খাদ্য, কারণ এটি মাইক্রো-পুষ্টি যেমন : ভিটামিন এ, বি, ইত্যাদি, খনিজ পদার্থ, ক্যালসিয়াম, জিং এবং ঔষধি গুণসম্পন্ন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। সালাদ কচুর মতো একটি নতুন ফসলের আবাদ করে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা ও আর্থিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখা যেতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।