লাইফস্টাইল ডেস্ক : শৈশব ছেড়ে কৈশোরে পা দিলেই স্বাধীনচেতা হয়ে ওঠে মন। বাবা-মায়ের শাসন বাঁধন ছিঁড়ে বেরোতে চায় কিশোর-কিশোরীরা। লেখাপড়ায় অমনোযোগিতা, কথায় কথায় জেদ, নিজেকে গুটিয়ে রেখে একলা থাকার অভ্যাস, মানসিক অবসাদ, ইন্টারনেটের নেশা, লুকিয়ে সিগারেট-মদ কিংবা বিপজ্জনক যৌনতা-বয়ঃসন্ধিকালে নানা সমস্যা মাথাচাড়া দেয়। সন্তানের এহেন আচরণে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়ে অভিভাবকদের কপালে। বাড়ন্ত বাচ্চাকে কেউ কড়া শাসনে আগলে রাখেন, কেউ বা অপত্য স্নেহ দেন। কিন্তু শাসনের দুই পদ্ধতি খানিকটা উনিশ-বিশ হলেই মুশকিল। দুই পক্ষের চাওয়ার বৈপরীত্যে সংসার শুরু হয়ে যায় অশান্তি। তবে বয়ঃসন্ধির ছেলেমেয়েদের কোন কৌশলে সামলাবেন? রইল তারই হদিশ।
১. বাল্যকাল আর প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার মাঝামাঝি সময়টাই টিনএজ বা কৌশোর। এই সময় নিজস্ব ভাবনা, ধারণা, মতামত তৈরি হয়। তাদের এইসব মতামতকে অভিভাবকরা গুরুত্ব না দিলে সমস্যা শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতে সন্তানকে বকাঝকা করে করে শান্তভাবে বোঝান। সন্তানের বক্তব্য মন দিয়ে শুনুন।
২. যতই কাজের ব্যস্ততা থাকুক, প্রতিদিন কিছুক্ষণ সন্তানকে ‘কোয়ালিটি টাইম’ দিন। সারা দিন বাদে এই সময়টা একে উপরের সঙ্গে কাটান।
৩.জের মতামত সন্তানের উপর চাপিয়ে দেবেন না। অন্যের সঙ্গে সন্তানের তুলনা করবেন না। যে কোনও বিষয়ে সন্তানের মতামত নিন। এতে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলার অভ্যাস গড়ে ওঠে।
৪. অপত্য স্নেহ সর্বনাশের কারণ। অতিরিক্ত বায়না, অতিরিক্ত ইন্টারনেট-মোবাইল ব্যবহার করলে অবশ্যই শাসন করুন। কোনও জিনিস চাইলে তা আদৌ কতটা দরকার তা বুঝে শাসন শুরু করুন।
৫. বাবা-মা ঠিকমতো সময় না দিলে বা সঠিক ব্যবহার না করলেই কিন্তু অবাধ্যতা, জেদ, একগুঁয়েমি বাড়ে। তাই ধৈর্য ধরে, সঙ্গ দিয়ে, ভাল করে বুঝিয়েও যদি অবাধ্যতা না কমে তাহলে শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালের বিশেষজ্ঞ মনোবিদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
৬. সন্তানের সঙ্গে কারওর তুলনা করবেন না। মারধর করে কিংবা আত্মসম্মানে লাগে এমন কথা বলবেন না। বাবা-মা-দের নিজেদের ঝগড়া সন্তানের সামনে করা উচিত নয়।
৭. সব ছেলেমেয়ে পড়াশোনায় এক রকম হয় না। কিন্তু কেউ যদি পড়াশোনায় হঠাৎ অমনোযোগী হয়ে পড়ে তাহলে তার কারণ অনুসন্ধান করুন। প্রয়োজনে কাউন্সেলিং করান।
৮. পড়াশোনার প্রয়োজনে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। তবে তা দিনে নির্দিষ্ট সময়ে এক-আধ ঘণ্টার বেশি নয়। সন্তান ইন্টারনেটে কোন ওয়েবসাইট চেক করছে মাঝে মাঝে সেদিকে রাখুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।