লাইফস্টাইল ডেস্ক : সাফসুতরো কোণ, বিছানার ধবধবে চাদর আর সুবাসে ঘেরা হোটেলকক্ষে পা রাখতেই মনটা কেমন ফুরফুরে হয়ে ওঠে! বাড়ির মতো স্বস্তি না মিললেও আবাসিক হোটেলে এমন সব সুযোগ-সুবিধা এবং পরিষেবা প্রদান করা হয় যে মানুষের মনে একপ্রকার বিলাসী অনুভূতি হয়।
ইচ্ছা করলে নিজের সাদামাটা ঘরই সাজিয়ে নিতে পারেন অভিজাত হোটেলের মতো করে।
সৌরভে সুবাসিত
প্রায় প্রতিটি হোটেলেই আলাদা এক রকম সুঘ্রাণ থাকে। এর কারণ তারা নির্দিষ্ট সুবাসের এয়ার ফ্রেশনার, রুম ডিফিউজার বা মোমবাতি ব্যবহার করে থাকেন। ঘরকে সুবাসিত রাখতে আপনিও বেছে নিতে পারেন পছন্দের সুগন্ধি। বসার ঘর, শোবার ঘর এমনকি স্নানঘরে রেখে দিন আপনার পছন্দের সুবাসযুক্ত মোমবাতি। চাইলে মোমবাতির ওপর কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল ছড়িয়ে দিতে পারেন, এতে পুরো ঘর সুবাসিত থাকবে।
আলোর উষ্ণতা
খাবারের স্বাদ ভালো না হলেও অনেকে শুধু পরিবেশের জন্য পছন্দের হোটেলে গিয়ে থাকেন। মানুষের অনুভূতি এবং মেজাজ (ভাইব) সেট করার ক্ষমতা রাখে আলো। ডিনারের দাওয়াত হোক, বা ঘরে চোখবুজে গান শোনা- সঠিক আলোর নির্বাচন খুব জরুরি। আভিজাত্য ফুটিয়ে তুলতে ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররা একটু ওয়ার্ম বা উষ্ণ টোনের আলোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বাজেট বেশি থাকলে বসার ঘরে একটি ঝাড়বাতি লাগাতে পারেন। এলইডি স্ট্রিপ এনে সিলিং বা দেয়ালের একপাশে লাগিয়ে দিতে পারেন। আবার বসার ঘরের সাজের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ঝোলানো বাতিও বেছে নিতে পারেন।
সবুজের সমারোহ
যেকোনো হোটেলের লবিতে ঢুকলেই সবুজের সমাবেশ চোখে পড়বে। বিভিন্ন কক্ষের পাশাপাশি ছাদ, বারান্দা, সিঁড়িঘর এবং প্রবেশদ্বারে গাছ রেখে প্রকাশ করতে পারেন নিজের নান্দনিক রুচিশীলতা।নানা জাতের অর্কিড, পাম, পিস লিলির মতো সৌন্দর্যবর্ধক ইনডোর গাছ ঘরের এককোণে কারুকার্য মণ্ডিত চীনামাটির পাত্রে সাজিয়ে রাখতে পারেন৷ চাইলে টেবিলের উপরেও এক টুকরো সবুজ রাখতে পারেন। তাছাড়া অনলাইন সাইটে আজকাল নান্দনিক নকশার বিভিন্ন প্ল্যান্টার পাওয়া যায়৷ ঘরে একান্তই জায়গার অভাব হলে ঘরের সিলিং থেকে লতানো গাছ ঝুলিয়ে দিলে মন্দ হবে না।
দেয়ালে তুলির ছোঁয়া
অভিজাত হোটেলগুলোর দেয়ালে সব সময় চিত্রকর্ম টাঙানো থাকে। পেরেক ঠুকে অথবা আঠার সাহায্যে রঙিন ওয়ালপেপার সাজিয়ে দিতে পারেন ঘরেও। বসার ঘরের সোফা বা শোবার ঘরের খাটের মাথার অংশের দেয়ালে রাখতে পারেন প্রাকৃতিক দৃশ্য, জ্যামিতিক নকশা বা প্রিয় কোনো উক্তি সম্বলিত ওয়ালপেপার। আবার আঁকিবুকির চর্চা থাকলে নিজেই তুলি হাতে দেয়ালে ফুটিয়ে তুলতে পারেন নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন।
ঝকঝকে স্নানঘর
হোটেলের সাথে ঘরের সবচেয়ে বড় পার্থক্য বোধহয় চোখে পড়ে ওয়াশরুমের ক্ষেত্রে। বেশিরভাগ হোটেলের ওয়াশরুমেই বাথটাব থাকে; এতেই একটা রাজকীয় ভাব চলে আসে! ওয়াশরুমের মেঝে, কমোড, বেসিন সব সময় পরিষ্কার রাখুন। মেঝে শুকনো রাখার চেষ্টা করুন। আয়না ঝাপসা হয়ে আছে কিনা, বেসিনে পানির হলদে দাগ হয়ে আছে কিনা এসব নিয়মিত লক্ষ্য রাখুন। কয়েকটি ছোট সুগন্ধি মোমবাতি বাথরুমে রাখতে পারেন। বেসিনের পাশে হ্যান্ড ওয়াশ ডিসপেনসার, ডিফিউজার, স্কিন কেয়ার আইটেম ইত্যাদি সুন্দর স্ট্যান্ডে গুছিয়ে রাখা গেলেও দেখতে পরিপাটি লাগবে।
তথ্যসূত্র: হাফপোস্ট
![](https://inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2024/12/2-39.jpg)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।