বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : নিরাপত্তার কারণে সিসি ক্যামেরা বা আইপি ক্যামেরার প্রচলন এখন অনেক বেশি। আর প্রযুক্তি-পণ্য সহজলভ্য হওয়ায় বলা যেতে পারে, যে কেউ এখন এটি ব্যবহার করতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্থানে গোপন ক্যামেরা বসানো থাকে, যা কোনও এক সময় ধরাও পড়ে। এসব ক্যামেরা ওয়াইফাই বা ব্লুটুথ— এমন বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যার উদ্দেশ্য সবসময় ভালো হয় না। তাই নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা রক্ষার জন্য জেনে রাখা ভালো কীভাবে এসব ক্যামেরা শনাক্ত করা যেতে যাবে।
সম্ভাব্য যেসব স্থানে গোপন ক্যামেরা থাকতে পারে তার মধ্যে রয়েছে— বিভিন্ন বৈদ্যুতিক-পণ্য, নাইট লাইট, বই, ডিভিডি বা সিডি প্লেয়ার, পেন, খেলনা, ঘড়ি, আয়না, স্মোক ডিটেক্টর ইত্যাদি। এগুলো ছাড়াও আরও একাধিক জায়গায় থাকতে পারে এসব লুকানো ক্যামেরা। শনাক্তের উপায়-
মোবাইল অ্যাপ
গোপন ক্যামেরার ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড শনাক্ত করার জন্য বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ রয়েছে। গুগল প্লে-স্টোরে গিয়ে হিডেন ক্যামেরা ডিটেক্টর সার্চ করলে পাওয়া যাবে এসব অ্যাপের তালিকা। তবে ফোনে সেগুলো ডাউনলোড করার আগে তার রিভিউ এবং কী কী ডাটা নেবে তা যাচাই করে নিতে হবে।
গোপন ক্যামেরা লেন্স খোঁজার অ্যাপ
ক্যামেরা লেন্স সাধারণত আলো প্রতিফলিত করে, যা বোঝার জন্য মোবাইল অ্যাপ রয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা বিনামূল্যে Glint Finder অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে গোপন ক্যামেরা লেন্সের প্রতিফলন বোঝা যায়।
ইনফ্রারেড সার্ভেইলেন্স ক্যামেরা ধরার উপায়
এ ধরনের ক্যামেরা বেশ উন্নত হয়। কম আলোতেও এগুলো ভালোভাবে কাজ করে। অন্ধকার ঘরে সব রেকর্ড করতে পারে এসব ইনফ্রারেড ক্যামেরা। এসব ক্যামেরাও অ্যাপের মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়। প্লে-স্টোরে সার্চ করলে পাওয়া যাবে এই অ্যাপ। সব ফোনে অবশ্য এসব অ্যাপ সাপোর্ট করে না। তাই অ্যাপ ডাউনলোড করে কম আলোতে একবার পরীক্ষা করে নিলে ভালো হয়।
ব্লুটুথ ক্যামেরা বের করতে চাইলে
গোপন ক্যামেরা হিসেবে ব্লুটুথ ক্যামেরাও ব্যবহার হতে পারে। যদিও এটি শনাক্ত করার জন্য কোনও অ্যাপের প্রয়োজন নেই। এটা বোঝার জন্য প্রথমে ফোনের ব্লুটুথ অন করে নিতে হবে। এবার স্ক্যান করে দেখতে হবে আশেপাশে আর কোনও সন্দেহজনক ব্লুটুথ ডিভাইস রয়েছে কিনা। থাকলে তৎক্ষণাৎ সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
ওয়াইফাই ক্যামেরা বের করতে চাইলে
ব্লুটুথের পাশাপাশি ওয়াইফাই ক্যামেরাও থাকতে পারে। তবে এটিও ধরার জন্য কোনও থার্ড পার্টি অ্যাপ লাগবে না। ব্লুটুথের মতো ফোনের ওয়াইফাই অন করে নিতে হবে। এবার আশেপাশে আর কোনও সন্দেহজনক ওয়াইফাই ডিভাইস রয়েছে কিনা চেক করতে হবে। এগুলো সাধারণত ক্যামেরা বা ইন্টারনেট অব থিংস বা আইওটি ডিভাইস হতে পারে। তবে এখানে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কও থাকতে পারে, যা শনাক্ত করা কঠিন। এর জন্য ওয়াইফাই অ্যানালাইজার অ্যাপের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।