লাইফস্টাইল ডেস্ক : স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্টে ডিম থাকবে না- এটা যেন অসম্ভব। ডিমকে বলায় হয় সুপারফুড, কারণ এতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব পুষ্টি থাকে। একটি ডিমে প্রায় ৭২ ক্যালোরি, ৬ গ্রাম প্রোটিন এবং ৫ গ্রাম স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে, যার মধ্যে ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এগুলো উচ্চমানের প্রোটিনে সমৃদ্ধ এবং পেশী মেরামত এবং বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড সরবরাহ করে। দেহের প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে ডিমের তুলনা নেই। এছাড়াও ডিমে রয়েছে শর্করা, স্নেহ এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থ। তবে কীভাবে ডিম খাচ্ছেন এ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় দুটি আইটেম হচ্ছে সেদ্ধ ডিম এবং অমলেট। কিন্তু জানেন কি এদের মধ্যে কোনটি উচ্চতর পুষ্টি সরবরাহ করে?
সেদ্ধ ডিমে পাবেন যেসব পুষ্টিগুণ
টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন বলছে, একটি বড় সেদ্ধ ডিমে প্রায় ৭৮ ক্যালোরি থাকে। এই ক্যালোরি প্রোটিন, চর্বি এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজগুলোর মধ্যে ভারসাম্য প্রদান করে। সেদ্ধ করা ডিমে বেশিরভাগ পুষ্টি উপাদান অক্ষত থাকে। সেদ্ধ ডিম ভিটামিন বি ১২, ডি এবং রিবোফ্লাভিনের একটি দুর্দান্ত উৎস। এসব উপাদান শক্তি জোগায় ও হাড় ভালো রাখে। এছাড়া সেদ্ধ ডিমে কোলিন থাকে, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এবং বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পুষ্টি উপাদান।
অমেলেটে পাবেন যেসব পুষ্টি উপাদান
পনির, শাকসবজি এবং কখনও কখনও মাংস দিয়েও বানানো হয় অমলেট। একটি অমলেট থেকে কতটুকু পুষ্টি মিলবে সেটা নির্ভর করে এই উপাদানগুলোর উপর। যদিও অমলেট উচ্চ প্রোটিন সরবরাহ করতে পারে, তবে সেগুলো ক্যালোরি এবং অস্বাস্থ্যকর তেলেও থাকে ভরপুর। বিশেষ করে যদি অতিরিক্ত তেল বা মাখন দিয়ে তৈরি হয়, তবে অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়ে অমলেট।
সেদ্ধ ডিম খাবেন নাকি অমলেট খাবেন?
পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ জানান, সেদ্ধ ডিম সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। কারণ সেদ্ধ ডিমে অতিরিক্ত চর্বি বা উপাদান থাকে না। ফুটন্ত প্রক্রিয়া ডিমের প্রোটিন এবং পুষ্টি সংরক্ষণ করে। অমলেট যদিও প্রোটিন সরবরাহ করে, তবে স্যাচুরেটেড ফ্যাটও বেশি হতে পারে এতে। তাই পুষ্টির দৃষ্টিকোণ থেকে সেদ্ধ ডিমে অমলেটের চেয়ে বেশি প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন এ থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।