ধর্ম ডেস্ক : কসম শব্দটি আরবি। বাংলাতেও এটির ব্যবহার আছে। অর্থ শপথ। অনেকে আছেন কথায় কথায় কসম করেন। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে কসম করেন। তবে প্রয়োজনে শপথ করা জায়েজ। কথায় কথায় শপথ করা মাকরুহ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে অধিক শপথ করে, যে লাঞ্ছিত, আপনি তার আনুগত্য করবেন না।’ (সুরা: কলম, আয়াত ১০)
কসমের কাফফারা বা ক্ষতিপূরণ
কসম পূর্ণ করতে না পারলে অবশ্যই কসমের কাফফারা বা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কাফফারা দেয়া ওয়াজিব। না হয় তার কবিরা গুনাহ হবে। কবিরা গুনাহ মানে বড় গুনাহ। যে একটি গুনাহই জাহান্নামে পৌঁছানোর জন্য যথেষ্ট। কসম ভঙ্গ করার পরই কাফফারা আদায় করতে হবে। কাফফারার দুই পদ্ধতি।
১০ জন অসহায় দরিদ্রকে দুই বেলা পেট ভরিয়ে খানা খাওয়ানো অথবা ১০ জন দরিদ্রকে ১০ সেট পোশাক দেয়া।
এ দুটির যেকোনোটি বেছে নেয়ার সুযোগ আছে। এর কোনোটিতেই সক্ষম না হলে ধারাবাহিক তিনটি রোজা রেখেও কাফফারা আদায় করতে পারে। কোরআনের শপথ করা নাজায়েজ হলেও কসম সংঘটিত হয়ে যায়।
সুতরাং যে বিষয়ে এ কসম করা হয়; সে বিষয় না মেনে চললে কসম ভেঙে যাবে। তখন এ কসমের জন্য কাফফারা আদায় করতে হবে। (সুরা: মায়িদা, আয়াত ৮৯, দুররুল মুখতার ৩/৭২৫, বাদায়েউস সানায়ে ৩/৬৩; আলবাহরুর রায়েক ৪/২৮৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৫৩)
কসমের কাফফারার নিয়ম
দশজন মিসকিনের প্রত্যেককে পূর্ণ তৃপ্তি সহকারে দু’বেলা খানা খাওয়ানো অথবা প্রত্যেককে এর মূল্য দেয়া। কাফফারার পুরো টাকা একত্রে এক ব্যক্তিকে দিয়ে দিলে তা আদায় হবে না; বরং পুরো টাকা একজনকে দিতে চাইলে প্রত্যেকের টাকা ভিন্নভাবে দশ দিনে দিতে হবে।
একদিনেই কাফফারার পুরো টাকা একজনকে দিয়ে দিলে তা একদিনের বলে বিবেচিত হবে। এক্ষেত্রে বাকি নয়দিনের টাকা ভিন্নভাবে আবার আদায় করতে হবে। মোটকথা, পুরো টাকা একজনকে দিলে দশ দিনে দিতে হবে। আর দশজনকে দিলে একদিনেই দেওয়া যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।