লাইফস্টাইল ডেস্ক : সড়কে গাড়ি চালানোর জন্য প্রথমেই যে অফিশিয়াল কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় সেটি হলো ড্রাইভিং লাইসেন্স। অনেকেই এই লাইসেন্স পেতে চান। কিন্তু কীভাবে করবেন তা বুঝে উঠতে পারেন না। যদি আপনিও তাদের দলে হন, তবে আজকের আয়োজন আপনারই জন্য।
সহজে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে প্রথমেই আপনাকে যা করতে হবে তাহলো বাংলাদেশ সরকারের ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ’-র ওয়েব সাইটে গিয়ে ‘অনুমোদিত ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুলের তালিকা থেকে সুবিধামতো একটি স্কুল পছন্দ করুন।
সেখানে নিয়মমাফিক কোর্স শেষ করুন। সঠিক সময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে মাথায় রাখুন গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়।
১। প্রথমেই বিআরটিএ থেকে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করুন। এক্ষেত্রে নির্ধারিত ফিস হলো ১ ক্যাটাগরি (যেমন: শুধু কার) ৫১৮/-টাকা ও ২ ক্যাটাগরি (যেমন: কার ও মোটর সাইকেল) ৭৪৮/-টাকা অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে।
২। এরপরই ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করতে আপনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থতা প্রমাণের জন্য একটি মেডিক্যাল সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
২। আপনার ন্যূনতম শিক্ষাযোগ্যতা থাকতে হবে ৮ম শ্রেণি পাশ। এবং সেই সনদ পত্র ফটোকপি প্রয়োজন হবে।
৩। অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স চাইলে আপনার বয়স হতে হবে ১৮। আর পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে আপনার বয়স হতে হবে ২১।
৪। জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি এবং আপনার ছবি।
৫। সঠিকভাবে এসব তথ্য অনলাইনে জমা দেয়ার পর মোবাইলে আপনার এসএমএস আসবে। পরীক্ষার তারিখও জানিয়ে দেয়া হবে। নির্ধারিত দিনে সশরীরে পরীক্ষা শেষ করতে হবে। আবেদনকারী আপনিই কিনা এর জন্য যাচাই করা হবে আপনার ফিঙ্গার প্রিন্ট।
৬। এ পরীক্ষার ফল একদিনের মধ্যেই আপনি হাতে পেয়ে যাবেন। আপনার মোবাইলে এসএমএস করে জানিয়ে দেয়া হবে আপনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নাকি অনুত্তীর্ণ।
৭। যদি আপনি ফেল করেন তাহলে আপনাকে আবারও পুনরায় নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা দেয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি পাস করেন তবে এ ঝামেলায় আর আপনাকে যেতে হবে না। বরং ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৮। আবেদনকারী বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টাল (BSP) এ নিবন্ধিত একাউন্ট ব্যবহার করে ড্রাইভিং লাইসেন্সের দক্ষতা যাচাই পরীক্ষার ফলাফল ও নির্ধারিত ফি যেমন অপেশাদার লাইসেন্সের জন্য ৪,৪৯৭/- টাকা (মেয়াদ: ১০ বছর) পেশাদার লাইসেন্সের জন্য ২,৭৭২/- টাকা (মেয়াদ: ০৫ বছর) অনলাইনে জমা দিতে হবে। উল্লেখ্য এক্ষেত্রে বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত ব্যাংকে সরেজমিনে/ব্যাংক কাউন্টার এ ফি প্রদানের কোনো সুযোগ নেই।
৯। অনলাইনে আবেদনের পর আবেদনকারীর অ্যাকাউন্টে অটো জেনারেটেড স্লিপ প্রিন্ট অপশন চলে আসবে। এই পেজটি আবেদনকারী কপি করে নিবেন। লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত এই কাগজটি দিয়েই আপনি ব্যস্ত সড়কে গাড়ি চালানোর অনুমতি পেয়ে যাবেন।
১০। নির্দিষ্ট কার্যদিবসের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স আপনার দেয়া ঠিকানায় ডাকযোগে প্রেরণ করা হবে। উল্লেখ্য, ডাক বিভাগের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিতরণ সেবা পাওয়ার জন্য ফি’র সাথে অতিরিক্ত ৬০/- টাকা অনলাইনে প্রদান করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।