লাইফস্টাইল ডেস্ক : গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সবারই। তার ওপর লোডশেডিং হলে তো কথাই নেই। আরো দুর্বিষহ হয়ে ওঠে জীবন। গরমে আরাম পেতে ঘরে এয়ারকন্ডিশনার বা এয়ারকুলারের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে।
এসব যন্ত্র যেমন ব্যয়বহুল, তেমনি রক্ষণাবেক্ষণেও হ্যাপা কম নয়। তাই চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব প্রাকৃতিকভাবেই ঘর আরামদায়ক রাখার।
অন্দরে আলো-বাতাসের চলাচল
সারাক্ষণ দরজা-জানালা আটকিয়ে ঘর গুমট করে রাখা যাবে না। সদর দরজা বন্ধ রাখুন।
কিন্তু প্রয়োজন ছাড়া বাসার ভেতরের ঘরের জানালা ও দরজা আটকে রাখবেন না। ঘরে আলো-বাতাস চলাচল করতে দিন। বাতাস চলাচল করলে ঘর এমনিতেই ঠাণ্ডা থাকবে।
ঘরে সবুজ গাছপালা
সবুজ উদ্ভিদ চোখে শীতলতা দান করে, তাপ শোষণ করে।
উদ্ভিদ ঘর ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। বারান্দায় ও রুমের কোণে বিভিন্ন গাছ ও ইনডোর প্লান্ট লাগাতে পারেন। বসার ঘরের দেয়ালজুড়েও গাছ লাগানো যায়। ছোট ছোট টবে লাগানো গাছ লোহার আংটার সঙ্গে ঝুলিয়ে দিতে পারেন। ঘরের আলমারি, টেবিল, টিভি সেটের ওপরও গাছের টপ বসিয়ে দিন। বাতাস বইবে, সবুজে চোখ জুড়াবে। ঘরে আরামদায়ক শীতলতা খুঁজে পাবেন।
ভারী পর্দার ব্যবহার
ঘরের জানালা ও দরজায় ভারী পর্দা ব্যবহার করতে হবে এখন। ঘরে রোদ আটকাতে ভারী পর্দা বেশ কাজে দেয়। সূর্যের আলো সরাসরি ঘরে ঢুকলে দ্রুত ঘর গরম হয়ে ওঠে। এ জন্য হালকা রঙের মোটা কাপড়ের পর্দা ব্যবহার করুন। মোটা কাপড় রোদ প্রবেশে বাধা দেবে। হালকা রঙের তাপ শোষণক্ষমতা কম। তাই বেশি গরম হবে না ঘর। রোদের তেজ বাড়তে শুরু করলেই পর্দা টেনে দিন। সন্ধ্যা বা রাতে পর্দায় পানি স্প্রে করে দিতে পারেন। ঠাণ্ডা বাতাস ঢুকবে।
বরফ ও কৃত্রিম জলাধার
ঘর ঠাণ্ডা রাখতে বরফ বা ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করতে পারেন। ফ্যান চালিয়ে নিচে বরফভর্তি গামলা রেখে দিন। এতে ঘরজুড়ে ঠাণ্ডা বাতাস ছড়িয়ে পড়বে। ড্রয়িংরুমে ছোট্ট কৃত্রিম ফোয়ারা বা ঝরনা অথবা জলাধার রাখতে পারেন। এটা ঘরে ঠাণ্ডা ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
কভার কুশন চাদর
গরমের সময় সোফার কভার, কুশন কভার ও বিছানার চাদরের রং ও ম্যাটেরিয়ালের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এ সময় হালকা রঙের চাদর ও কভার বেছে নিতে হবে। হালকা রঙের রোদ শোষণক্ষমতা অনেক কম। সুতি কাপড় এ সময় আরামদায়ক অনুভূতি দেবে। রুমের আসবাবেও হালকা রঙের প্রাধান্য দিতে পারেন। এ সময় লিনেনের বেডশিটও বেশ আরামদায়ক।
ঘরে পর্যাপ্ত জায়গা রাখা
ঘর আসবাব ও নানা জিনিস দিয়ে ঘিঞ্জি করে রাখবেন না। অগোছালো ঘরবাড়িতে এমনিতেই গরম বেশি লাগে। তার ওপর গুমট ও ঘিঞ্জি পরিবেশ এই সময় গরম আরো বাড়িয়ে দেবে। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও আসবাব ছাড়া বাকি সব স্টোররুমে রেখে দিন। ঘর যত ফাঁকা থাকবে তত বেশি ঠাণ্ডা থাকবে। গরমের সময় কার্পেট তুলে রাখুন। মাদুর বা শীতলপাটি বিছিয়ে দিতে পারেন।
পূর্ব পরিকল্পনা
বাড়ি নির্মাণের সময় বাড়ির পূর্ব ও পশ্চিম পাশে ছায়াদানকারী বড় গাছের চারা লাগিয়ে দিন। ঘর নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে গাছ বড় হবে। ঘরে সরাসরি সূর্যের আলো পড়বে না। গাছের ছায়ায় বাড়ি শীতল থাকবে। ঘরের মধ্য দিয়ে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন। যে ঘরে বেশি বাতাস চলাচল করে সে ঘর এমনিতেই ঠাণ্ডা থাকে। বাড়িতে সাদা রং করুন। সাদা রঙের তাপ শোষণক্ষমতা কম। এ জন্য ঘর ও বাড়ি অন্য রঙের তুলনায় বেশি ঠাণ্ডা থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।