অনিক হোসেন : সিটি করপোরেশন এলাকার বিবাহ নিবন্ধন কার্যক্রমে শৃঙ্খলায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এ ক্ষেত্রে বিয়ের কর নির্ধারণ করেছে ডিএসসিসি।
ডিএসসিসি জানিয়েছে, আদর্শ কর তফসিলের আওতায় প্রথম বিয়ে বা স্ত্রীর মৃত্যুর পর প্রথম বিয়ের ক্ষেত্রে কর ১০০ টাকা; প্রথম স্ত্রীর জীবদ্দশায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকা; প্রথম দুই স্ত্রীর জীবদ্দশায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে তৃতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে কর ২০ হাজার টাকা; প্রথম তিন স্ত্রীর জীবদ্দশায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে চতুর্থ বিয়ের ক্ষেত্রে কর দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা।
তবে প্রথম স্ত্রী যদি মানসিক ভারসাম্যহীন অথবা বন্ধ্যা হয়, তাহলে পরবর্তী বিয়ের ক্ষেত্রে ২০০ টাকা কর দিতে হবে।
ডিএসসিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৮২ নম্বর ধারার ৪র্থ তফসিলের ৮ নম্বর ক্রমিকে অর্পিত ক্ষমতাবলে এবং আদর্শ কর তফসিল ২০১৬ এর ১০(৪) এর ১৫২ নম্বর ক্রমিকে উল্লিখিত হারে এই কর আদায় করা হবে।
বিয়ের কর আদায়ের ক্ষেত্রে কাজিরা প্রাথমিক দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছে ডিএসসিসি। এরই মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকার কাজি এবং করপোরেশনের কর কর্মকর্তাদের নির্দেশনাও দিয়েছে ডিএসসিসি।
ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের বলেন, বিয়ের নিবন্ধনের সময় কাজি উল্লিখিত হারে কর আদায় করবেন। এরপর সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে সেই কর চালানের মাধ্যমে জমা দেবেন। এতে সংশ্লিষ্ট দম্পতির বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ থাকবে।
ডিএসসিসি জানিয়েছে, বর্তমানে কর আদায় কার্যক্রম ম্যানুয়ালি পরিচালনা করা হলেও শিগগিরই তা অনলাইনে নিয়ে আসতে করপোরেশন প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ কাজ বাস্তবায়ন হলে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও বিবাহ নিবন্ধন কর পরিশোধ করা যাবে।
আবু নাছের বলেন, বর্তমানে ম্যানুয়ালি কর আদায় করা হচ্ছে। অনলাইনে যেন কর দেওয়া যায়, সেজন্য সিটি করপোরেশনের একটি টিম কাজ করছে।
বিয়ের নিবন্ধনের বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিবাহ বিচ্ছেদ–সংক্রান্ত তথ্যাদি করপোরেশনে এলেও বিবাহ নিবন্ধন–সংক্রান্ত কোনো তথ্য আমাদের কাছে থাকে না। কিন্তু স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী এটা বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া বিবাহ–সংক্রান্ত তথ্য থাকলে বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে অনেক সময় তা সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। পাশাপাশি অনেক সময় আদালত ও বিভিন্ন সংস্থা থেকে এ সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়। ফলে আমাদের এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সামষ্টিকভাবে বিবাহ নিবন্ধন কার্যক্রম একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় আসবে।’
বর্তমানে ডিএসসিসির সবগুলো ওয়ার্ডেই বিয়ের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে নির্ধারিত হারে কর আদায় করা হচ্ছে। এতে ডিএসসিসির রাজস্বও বেড়েছে। ডিএসসিসি জানিয়েছে, করপোরেশনের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে গত জানুয়ারিতে ২৮টি বিয়ে নিবন্ধন হয়। এতে রাজস্ব আদায় করা হয়েছে ২ হাজার ৮০০ টাকা। সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।