লাইফস্টাইল ডেস্ক : চলতি বছর বৈশাখের শুরু থেকেই তীব্র তাপদাহ অনুভূত হচ্ছে। এদিকে রাজধানীসহ সারা দেশেই পারদ ৩৮-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। আবহাওয়া অফিস থেকেও জানানো হয়েছে, আকাশে মেঘের উপস্থিতি এবং কিছুটা বাতাস থাকায় জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে বিদ্যমান তাপমাত্রা সামনের দিনেও অব্যাহত থাকবে।
তবে শরীরের তাপ কমানোর ক্ষেত্রে আপনাকে আগে ঠিক করতে হবে আপনি শরীরের তাপ কমাবেন নাকি জ্বর? শরীরের তাপ কমানোর জন্য প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। এই পদ্ধতিতে আপনি ঘরোয়াভাবে শরীরের পানি শূন্যতা কমাতে পারেন। আরও কিছু প্রতিকারের উপায় আছে যেমন আপনার পা পানিতে ভেজানো বা উষ্ণ স্নান গ্রহণ। তবে হিটস্ট্রোক থেকে জ্বর ইত্যাদি ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাই চলুন জেনে নিই প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরের তাপ কমানো ঘরোয়া কিছু উপায়-
তরল পান করুন
বেশি পরিমাণে তরল খাবার গ্রহণের চেষ্টা করুন। এটি আপনার শরীরকে অভ্যন্তরীণভাবে ঠান্ডা করে শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। তরল নিয়মিত গ্রহণে ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ হয়।
ঠান্ডা পানি
ঠান্ডা পানিতে সাঁতার কাটা, গোসল করা বা শরীরে ঠাণ্ডা পানি প্রয়োগ করা শরীরের তাপমাত্রা কমাতে পারে। এই ক্ষেত্রে রক্ত সঞ্চালনের ফলে শরীরের তাপমাত্রা হ্রাস পাবে।
পোশাক পরিধান
শরীরের তাপ কমাতে ঢিলাঢালা, হালকা ওজন এবং হালকা রঙের পোশাক পরুন। যদি সম্ভব হয়, পোশাকের বাড়তি অংশ খুলে রাখুন এতে প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরের তাপ কমানো যাবে। সিল্ক, শিফন, পাতলা সুতি এবং লিনেনের মত হালকা ওজনের কাপড়গুলো অতিরিক্ত গরমের জন্য উপযুক্ত। সাথে সাদা এবং অন্যান্য হালকা রং পরতে চেষ্টা করুন, যা সূর্যালোক প্রতিফলিত করে তাপকে হ্রাস করতে সাহায্য করতে পারে।
কিছুটা সময় এসি বা ফ্যানের সামনে
চেষ্টা করুন দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় এসির ভেতরে থাকার। তা যদি সম্ভব না হয় তাহলে আপনি ফ্যানের সামনে বসে এটি করতে পারেন। এসি বা ফ্যানের সামনে বসে থাকার কারণে খুব কম সময়ে আপনার শরীরের বাড়তি তাপ কমে আসবে। এছাড়াও আপনার ত্বক ঠান্ডা পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন। পরে ফ্যানের নিচে বসুন কিংবা মৃদু গতিতে, দীর্ঘসময় নিজেকে বাতাস করুন। এটি আপনার ত্বককে ঠান্ডা অনুভূতি দিবে।
শ্বাসের ব্যায়াম
শরীরের তাপ কমাতে নিয়ন্ত্রিত শ্বাসের ব্যায়াম করুন। আপনি হয়ত ভাবছেন শ্বাসের ব্যায়ামের সাথে শরীরে তাপের কি সম্পর্ক? আসলে আপনি ব্যায়ামের মাধ্যমে নিজেকে শান্ত রাখতে পারবেন। এ জন্য আরাম করে বসুন এবং ধীর, গভীর শ্বাস গ্রহণ করার চেষ্টা করুন, এতে খুব দ্রুত প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরের তাপ কমানো যাবে। ৪ গণনা পর্যন্ত আপনার শ্বাস টানুন, ৭ গণনা পর্যন্ত ধরে রাখুন এবং ৮ গণনা পর্যন্ত ধীরে ধীরে শ্বাস ফেলুন। আপনার হৃদস্পন্দন কমাতে এবং আপনার মূল তাপমাত্রা কমাতে প্রতিদিন এভাবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ব্যায়াম করুন। ধীরে ধীরে আপনার শরীরের তাপ কমে আসবে।
শরীরের মূল পয়েন্টে ঠাণ্ডা লাগান
শরীরের কৌশলগত পয়েন্টগুলোতে যেখানে শিরাগুলো পৃষ্ঠের কাছাকাছি থাকে- যেমন কব্জি, ঘাড়, বুকে ঠান্ডা পানি ভেজানো তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। এটি আপনার শরীরের তাপ কমাতে সাহায্য করবে।
ঠান্ডা পানিতে পা ডোবান
একটি পাত্রে ঠান্ডা পানি এবং বরফ নিন তারপর তাতে আপনার পা ডোবান। ভাল ফলাফলের জন্য, অন্তত ৬০ মিনিটের জন্য রাখুন। পানি গরম হতে শুরু করলে পাত্রে আবারো ঠান্ডা পানি এবং বরফ দিন।
শরবত পান করুন
যদি আপনি গরম আবহাওয়াতে কাজ করেন বা ব্যায়াম করেন, তাহলে আপনার শরীরের পানি শূন্যতা পূরণের জন্য শরবত বা স্যালাইন পান করতে পারেন। ঘামের সাথে বেরিয়ে যাওয়া লবণ এবং অপরিহার্য খনিজ পূরণ করবে এই পানীয়। হাইড্রেটেড থাকা জরুরি, তাই সোডা এবং অন্যান্য চিনিযুক্ত পানীয়, অ্যালকোহল, এবং ক্যাফেইন এড়িয়ে চলা উচিত।
সূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।