লাইফস্টাইল ডেস্ক : বাইরে চলছে প্রচন্ড তাপপ্রবাহ। ঘরে ফিরে এসিতে একটু শান্তির খোঁজ মিললেও, ঘাড়ে উঠছে বাড়তি বিদ্যুৎ খরচের বোঝা। সেখান থেকে রেহাই পেতে এসির ব্যবহার নিয়ে শঙ্কায় পড়তে হয়। তবে কিছু বিষয় মেনে এসি ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ খরচ অনেকটাই সাশ্রয় করা সম্ভব। তার জন্য রইল কিছু পরামর্শ।
১. গরমের শুরুতেই এসি একবার সার্ভিস করিয়ে নিন। আর নিয়মিত এসি সার্ভিসিং জরুরি। পাশাপাশি এসির ভেতরের ভেন্টগুলোও পরিষ্কার করতে হবে। এতে কম্প্রেসরের ওপর চাপ কম পড়বে ও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
২. রাতে ঘুমানোর এসি স্লিপ মোডে দিয়ে রাখুন। দেখবেন বিদ্যুৎ খরচ অনেকটাই কম হবে।
৩. এয়ার কন্ডিশনার বা এসির ডিফল্ট তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখা ভালো। এই তাপমাত্রা মানবদেহের জন্য স্বস্তিদায়ক। এসির তাপমাত্রা বাড়ালে প্রতি ডিগ্রির জন্য ৬ শতাংশ করে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। ফলে ১৮ ডিগ্রির বদলে ২৪ দিয়ে রাখলে বিদ্যুৎ খরচ বাঁচবে অনেকটাই।
৪. ঘরে মোটা বা ভারী পর্দা ব্যবহার করুন। এতে বাইরের গরম বাতাস ও তাপ ঘরে কম ঢুকবে। তাই ঘর অতিরিক্ত গরম হবে না এবং এসি অন করলে তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হবে।
৫. এসি অন করার আগে অবশ্যই দরজা জানালা ভালো করে লাগিয়ে নিন। কোথাও যেন ফাঁকা না থাকে। এসির ঠান্ডা বাইরে বের হলে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়।
৬. কিনতে পারেন ইনভাটার এসি। এসব এসিতে থাকা সেন্সর ঘরের তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে কম্প্রেসার পুরোপুরি বন্ধ না করে মোটরটির চলার গতি কমিয়ে দেয়। ফলে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। তবে এই পদ্ধতি বাসা থেকে অফিসের জন্য বেশি কার্যকর।
৭. এসির পাশাপাশি ঘরে ফ্যান চালিয়ে রাখুন, এতে এসির টেম্পারেচার খুব বেশি কমাতে হবে না। ফ্যানের বাতাসের সঙ্গে এসির ঠান্ডাও ছড়িয়ে পড়বে রুমজুড়ে।
৮. যদি আপনার এসিতে স্লিপ মোড না থাকে, তবে রাতে টাইমার সেট করে দিতে পারেন। নির্দিষ্ট সময় পর ঘর ঠান্ডা হয়ে গেলে এসিও বন্ধ হয়ে যাবে।
৯. অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস যেমন টিভি, ফ্রিজ এগুলো থেকে তাপ নির্গত হয়। ফলে রুমে এগুলো থাকলে ঘর ঠান্ডা হতে সময় লাগে বেশি। সম্ভব হলে এসি চালানোর আগে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস বন্ধ করে দিন।
১০. একটানা এসি না চালিয়ে মাঝে কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখুন। ঘণ্টা খানেক এসি চালানোর পর সেটি বন্ধ রাখলেও ঘর ঠান্ডা থাকবে অনেকক্ষণ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।