লাইফস্টাইল ডেস্ক : মাছ-মাংস একসঙ্গে অনেকগুলো কিনে সংরক্ষণ করার জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হলো ফ্রিজ। বাসায় একটি ফ্রিজ থাকার মানে হলো অনেক কাজই সহজ হয়ে যাওয়া। বর্তমান ব্যস্ত জীবনে এর বিকল্পও নেই। কিন্তু ফ্রিজে মাছ-মাংস রাখার কারণে তাতে আঁশটে গন্ধ ধরে যেতে পারে। ফ্রিজ খুললেই তখন গন্ধ এসে নাকে লাগে। অনেক সময় বাসন মাজার সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা হলেও গন্ধ দূর হয় না। এই গন্ধ দূর করার আছে কিছু ঘরোয়া উপায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ভিনেগার
ভিনেগার ব্যবহার করে খুব সহজেই ফ্রিজ থেকে মাছের আঁশটে গন্ধ দূর করতে পারবেন। সেজন্য একটি পানিভর্তি পাত্রে কয়েক ফোঁটা ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এরপর সেই মিশ্রণে কাঁচা মাছ ভিজিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। এতে মাছের অতিরিক্ত গন্ধ দূর হবে। রান্নার সময় রান্নাঘরেও আঁশটে গন্ধ ছড়াবে না। পানির সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে তা দিয়ে কিছুক্ষণ বাসন ভিজিয়ে রাখলে বাসনের গা থেকেও আঁশটে গন্ধ দূর হয়। ফ্রিজ পরিষ্কারের সময় গরম পানিতে ভিনেগার মিশিয়ে মুছে নিলেই গন্ধ দূর হবে।
আলু
আলু অনেক কাজে লাগে। এমনকী এটি ফ্রিজের আঁশটে গন্ধ দূর করতেও সমান কার্যকরী। দুটি আলু মাঝ বরাবর কেটে নিন। এরপর তাতে লবণ মাখিয়ে কাঁচা মাছের পাত্রে রেখে দিন কয়েক ঘণ্টা। এতে মাছের আঁশটে গন্ধ অনেকটাই দূর হয়। তবে সেই আলু আর ব্যবহার করা যাবে না। ফ্রিজে মাছের ড্রয়ারে এভাবে লবণ মাখানো আলু রাখতে পারেন। এতে গন্ধ হবে না।
লেবু
মাছের আঁশটে গন্ধ দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন লেবুর রস। বাসন পরিষ্কারের তরল সাবানের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার তা দিয়ে বাসন এবং মাছ রাখার বক্সটি ভালো করে মেজে ধুয়ে নিন। লেবুর রসের পাশাপাশি লেবুর খোসা দিয়েও বাসন পরিষ্কার করতে পারেন। যে পাত্রে মাছ রেখেছিলেন, সেটিতে লেবুর খোসা ভালো করে ঘষে নিন। এরপর সাবান দিয়ে বাসন ধুয়ে নিন। গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
বেকিং সোডা
বেকিং সোডা ব্যবহার করেও বাসনপত্র বা ফ্রিজ থেকে মাছের আঁশটে গন্ধ দূর করা যায়। পানিতে ১ চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। এবার এই বেকিং সোডা দিয়ে ফ্রিজ পরিষ্কার করে নিন বা বাসন মেজে নিন। এরপর পানিতে ধুয়ে নিলেই আর গন্ধ থাকবে না।
কফি
ফ্রিজ থেকে মাছের আঁশটে গন্ধ দূর করতে কফিও ব্যবহার করতে পারেন। কফির গুঁড়া ফ্রিজের গায়ে ভালো করে লাগিয়ে নিন। তারপর ফের তরল সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে মাছের আঁশটে গন্ধ উধাও হয়ে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।