লাইফস্টাইল ডেস্ক : জিংক এমন একটি খনিজ যা শরীর সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং কোষ তৈরি করতে ব্যবহার করে। এটি ক্ষত নিরাময় এবং ডিএনএ তৈরি করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সমস্ত কোষের জেনেটিক ব্লুপ্রিন্ট হচ্ছে জিংক। শরীর প্রয়োজনের তুলনায় কম জিংক পেলে বেশ কিছু লক্ষণে সেটা প্রকাশ করে। পুষ্টিবিদ জান্নাতুল হুসনা জানাচ্ছেন বিষয়টি নিয়ে।
জিংক শরীর দ্বারা কোষ উৎপাদন এবং ইমিউন ফাংশনে ব্যবহৃত হয়। যখন শরীরে জিংকের ঘাটতি হয়, তখন শরীর সুস্থ ও নতুন কোষ তৈরি করতে পারে না। এতে নিম্নোক্ত লক্ষণগুলো ফুটে উঠতে পারে-
ব্যাখ্যাতীত ওজন হ্রাস
ক্ষত নিরাময়ে সময় লাগা
গন্ধ এবং স্বাদের অনুভূতি কমে যাওয়া
ডায়রিয়া
ক্ষুধামন্দা
ঠান্ডা-সর্দি বা কাশির মতো অসুখ ঘন ঘন হওয়া
চুল পড়ে যাওয়া
নখ ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া কিংবা সাদা ছোপ পড়া
যৌন স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব
গর্ভবতী মায়ের জিংকের ঘাটতি হলে সন্তানের বিকাশে প্রভাব পড়তে পারে
কোন কোন খাবারে মেলে জিংক?
চিংড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণ জিংক পাওয়া যায়।
মুরগির মাংস ও ডিম জিংকের অন্যতম উৎস।
ছোলা ও মসুরের ডাল থেকে পেতে পারেন খনিজটি।
ডার্ক চকলেট থেকে জিংক মেলে।
কাজু বাদাম জিংকের উৎস।
সতর্কতা
চাহিদার চাইতে বেশি জিংক গ্রহণ করলেও কিন্তু পড়তে পারেন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। জিংকের আধিক্য কপার শোষণে বাধা দেয়। ফলে অ্যানিমিয়া হতে পারে। এছাড়া বমি ভাব, বমি, অরুচি, পেটব্যথা, মাথাব্যথা, পাতলা পায়খানা দেখা দিতে পারে। তাই একজন বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।