লাইফস্টাইল ডেস্ক : সুস্থ থাকতে সকাল সকাল দিন শুরু করার কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু অনেকে ঘুমোতে যান ভোরের দিকে। ফলে ঘুম ভাঙতে বেলা পেরিয়ে যায়। আবার সময়মতো ঘুমিয়েও সকালে কিছুতেই উঠতে পারেন না অনেকে।
অনেকক্ষণ ঘুমোচ্ছেন মানেই শরীর দারুণ তরতাজা হয়ে উঠছে, এমনও নয়। বরং ঘুম ভাঙতে যত বেলা বাড়ে, আলসেমি তত ঘিরে ধরে। শরীরচর্চা তো দূর, কায়িক পরিশ্রম করতেই ইচ্ছা করে না।
তা়ড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা অনেকের পক্ষেই বেশ কঠিন একটা কাজ। তবে কয়েকটি বিষয় মেনে চললে দ্রুত ঘুম থেকে ওঠা সম্ভব। সেই সঙ্গে কাঁচা ঘুম ভাঙলে কোনও অস্বস্তি থাকবে না। চাঙ্গা থাকবে শরীর।
রাতে তাড়াতাড়ি ঘুম
ঘুমানোর প্রায় এক ঘণ্টা আগে ইলেকট্রনিক্স, যেমন টিভি, স্মার্টফোন এবং অন্যান্য ডিভাইস বন্ধ করে রাখা ভালো। এসব ডিভাইস যে নীল আলো নির্গত করে তা মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করে এবং মেলাটোনিনের উৎপাদনকে দমন করতে পারে, যা ঘুমিয়ে পড়া আরও কঠিন করে তোলে। এ ছাড়া সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত ঘুমোনোটাও জরুরি। তাই সকালে উঠবেন, সেটা যদি মনস্থির করে ফেলেন, তা হলে রাতে শুয়েও পড়তে হবে দ্রুত। তবেই আর ঘুমের ঘাটতি থাকবে না।
নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম
ভোরের দিকে ঘুমোতে যান, বেলা করে ওঠেন— দীর্ঘ দিন ধরে এমন অভ্যাস চললে শরীরের উপর তার প্রভাব পড়বে স্বাভাবিক ভাবেই। তবে দীর্ঘায়ু পেতে এই অভ্যাসে ইতি টানতে হবে। ঘুমোনোর বিষয়টা নিয়মমাফিক হওয়া জরুরি। রাতের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যাওয়া এবং তখন থেকে ৭ ঘণ্টা পর বিছানা ছাড়ার অভ্যাস তৈরি না করলে মুশকিলে পড়তে হতে পারে।
ফোন দূরে রাখুন
ঘুম থেকে উঠেই ফোন দেখার অভ্যাস বন্ধ করা জরুরি। চোখ খুলেই প্রথমে ধাতস্থ হয়ে নিন। তারপর পরিষ্কার হয়ে কিছুক্ষণ শরীরচর্চায় মন দিন। তারপরে ফোন দেখতে পারেন। তবে ফোনে ডুবে গেলে চলবে না। কারণ বেশিক্ষণ খালিপেটে থাকা যাবে না। তাই দ্রুত সকালের খাবারও খেয়ে নিতে হবে।
ব্যায়াম করুন
সারা দিন তরতাজা এবং চাঙ্গা রাখতে শুধু শরীরচর্চা করলে হবে না। করতে হবে ধ্যানও। তাই ভারী শরীরচর্চায় যদি মন না-ও বসে, যোগাসন আর মেডিটেশন করে নিতে পারেন। উপকার পাবেন। তবে সবশেষে যদি কফির কাপে চুমুক বসাতে পারেন, তা হলে সারা দিন দারুণ চনমনে কাটবে।
গৃহবধূর একা থাকার সুযোগ নিয়ে কুকীর্তি ডাক্তারের, বিনামূল্যে যেভাবে দেখবেন এই শর্ট ফিল্ম
নির্দিষ্ট সময়ে খাবার গ্রহণ
প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন এবং অবশ্যই ঘুমানোর বেশ কিছুক্ষণ আগে খেয়ে নিবেন। ভরপেটে ঘুমাতে গেলে অস্বস্তিকর হতে পারে এবং এটি ঘুম আরও কঠিন করে তুলতে পারে। এ ছাড়াও, বিকেলের পর থেকে কফি বা চা পান কম করুন। ক্যাফেইন আপনার ঘুমিয়ে পড়ার ক্ষমতাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।