আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নব্বইয়ের দশকের শুরুতে যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়ে, তখন কমিউনিজমের পতনকে পশ্চিমা গণতন্ত্রের চূড়ান্ত বিজয় বলে ঘোষণা করেছিলেন অনেকে। মার্কিন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ফুকুয়ামা তো ‘দ্য এন্ড অব হিস্ট্রি অ্যান্ড দ্য লাস্ট ম্যান’ নামে একটা বই লিখে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু ইউরোপে আবার এক রক্তাক্ত যুদ্ধে একবিংশ শতাব্দীর বিশ্ব ব্যবস্থা ওলট-পালট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
আমেরিকান পাবলিক ইউনিভার্সিটি সিস্টেমের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ ইফতেখার আহমেদ বলেন, এই যুদ্ধ বিশ্ব রাজনীতিকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। ফ্রান্সিস ফুকুয়ামার ধারণা ছিল, স্নায়ুযুদ্ধ অবসানের পর ইতিহাসের পরিসমাপ্তি ঘটবে। অর্থাৎ, ইউরোপে বোধহয় আর কোনো যুদ্ধ ঘটবে না। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিশ্বজুড়ে উদার গণতান্ত্রিক এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থার আধিপত্য কায়েম হবে। কিন্তু তাদের হিসাবে একটা বড় ভুল ছিল।
‘রাশিয়ার যে আবার উত্থান ঘটতে পারে, সেখানে যে একটি পশ্চিমা-বিরোধী রুশ জাতীয়তাবাদ মাথাচাড়া দিতে পারে, এই সমীকরণটা গোনায় ধরা হয়নি। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বে রাশিয়া তার অর্থনীতি এবং সামরিক শক্তিকে সুসংহত করার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিশ্ব ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আসলেই এক বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে।’
ইফতেখার আহমেদের মতে, বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় এখন পশ্চিমাদের যে প্রাধান্য, তা বজায় থাকবে কি না, সেটাই কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা।
তার মতে, এখন সব কিছুই নির্ভর করছে ইউক্রেন যুদ্ধের ফলাফলের ওপর।
সূত্র: বিবিসি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।