আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতবর্ষের প্রকৌশলের সেরা নমুনার মধ্যে অবশ্যই হাওড়া ব্রিজ অন্যতম। হাওড়া ব্রিজ হুগলী নদীর উপর প্রসারিত এবং ব্রিটিশদের একটি বিস্ময়কর প্রযুক্তি কর্ম বলে মনে করা হয়। বিশ্বের ব্যস্ততম সেতুর মধ্যে হাওড়া ব্রিজ একটি। হাওড়া এবং কলকাতার সংযোগস্থল স্থাপন করেছে সেতুটি আর এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করেন। ১৯৬৫ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম অনুসারে এই সেতুটি নামকরণ হয় রবীন্দ্র সেতু।
১৮৭৪ সালে এই সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। রেলওয়ে প্রধান প্রকৌশলী অর্থাৎ আর্কিটেক্ট ব্র্যাডফোর্ড লেসলি এই সেতুটির ডিজাইন করেছিলেন। হাওড়া সেতু নির্মাণ করতে দীর্ঘ ৭ বছর সময় লাগে। হাওড়ার এই প্রসারিত খিলান সেতুর কাজ সম্পন্ন হয় ১৯৪৩ সালে, যা আজ গর্বের সঙ্গে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।
হাওড়া সেতুটি দৈর্ঘ্যে ১৫২৮ ফুট এবং ৪৮ ফুট চওড়া। সেতুটি নির্মাণে সাড়ে ২৩ হাজার টন ইস্পাত দিয়েছিল টাটা আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানি। এই সেতু সম্ভবত ভারতের প্রথম মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্প। জানাযায়, সেই সময়ে এই সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল প্রায় আড়াই কোটি টাকা।
তবে জানেন কি, হাওড়া ব্রিজে একটিও নাট বোল্ট এর ব্যবহার করা হয়নি। এর পুরো কাঠামোটি রিভেট দ্বারা নির্মিত, যেখানে আপনি কোথাও নাট ও বোল্ট এর ব্যবহার দেখতে পাবেন না। এর নির্মাণে স্টিলের প্লেট সংযুক্ত নয় বরং ধাতুর তৈরি পেরেক ব্যবহার করা হয়েছে। সেসময় এই হুগলি নদী দিয়ে প্রচুর জলজাহাজ চলাচল করতো আর ঠিক সেই কারণেই পিলার ছাড়াই ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা হয়েছিল, যাতে জলযান চলাচলে বাধা সৃষ্টি না করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।