জুমবাংলা ডেস্ক : ডলারের মান কমায় আন্তর্জাতিক বাজারে হু হু করে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী দুটি ব্যাংক দেউলিয়া ঘোষণার পর এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। স্বর্ণের আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণকারী সংবাদমাধ্যম কিটকো’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (১৩ মার্চ) আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৯০০ ডলারে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় হিসাবে ২ লাখ ৫৮৩ টাকা।
বাংলাদেশের বাজারে ভরি হিসেবে স্বর্ণের কেনাবেচা চললেও আন্তর্জাতিক বাজারের স্বীকৃত পরিমাপ পদ্ধতি হলো আউন্স। হিসাব অনুযায়ী, এক আউন্সের একটি স্বর্ণখণ্ডের ওজন আড়াই ভরির সমান।
দেশে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি স্বর্ণের ভরি দাম বাড়ার ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড গড়ে ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকায় দাঁড়ায়। যা বাংলাদেশে ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম বৃদ্ধি। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারিতে সবশেষ স্বর্ণের দাম বাড়ায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) প্রতি গ্রামে ৭ হাজার ৮১০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয় ৯১ হাজার ৯৪ টাকা। যা পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর করা হয়।
এদিক কিটকো’র তথ্য অনুযায়ী, রবিবার আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৮৮১ দশমিক ৪০; অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬১৯ টাকা ৩৯ পয়সা। শতকরা হিসেবে একদিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম বেড়েছে দশমিক ৭৬ শতাংশ।
গুজবের জেরে অধিকাংশ গ্রাহক তাদের সঞ্চয়ের অর্থ তুলে নেওয়ায় শনিবার ধসে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক। তার মাত্র তিন দিনের মধ্যে একই পরিণতি ঘটে আরেক মার্কিন ব্যাংক সিগনেচারের ক্ষেত্রেও। তারল্য সংকট চলতে থাকায় রবিবার নিউইয়র্কভিত্তিক সিগনেচার ব্যাংক বন্ধ ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রণ নেয় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন (এফডিআইসি)। যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ ব্যাংকের পর্যায়ভুক্ত এসভিপি ও সিগনেচার ব্যাংক।
ডলারের মান অনুসরণকারী মার্কিন সূচক ইউএস ডলার ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী, পর পর দু’টি ব্যাংকের পতনের পর বিভিন্ন শক্তিশালী মুদ্রা, যেমন-ব্রিটেনের পাউন্ড, কানাডিয়ান ডলার, জাপানের ইয়েন, সুইডেনের ক্রোনা ও সুইজারল্যান্ডের ফ্রাঙ্কের তুলনায় সোমবার ডলারের অবনমন ঘটেছে দশমিক ৫৮ শতাংশ।
এই ব্যাপারটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ গত বছর জুন মাসের মাঝামাঝি অন্যান্য শক্তিশালী মুদ্রার তুলনায় লাগামহীন ভাবে বাড়ছিল ডলারের দাম।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের (ট্রেজারি) বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন এবং দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমের চেয়ারম্যান জেরোমি পওয়েল অবশ্য সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে রক্ষা এবং ব্যাংকখাতে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থমন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।