জুমবাংলা ডেস্ক : ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণে অল্প সময়ে কম খরচে অধিক ফলনে দিন দিন সূর্যমুখী চাষে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার কৃষকরা।
সবুজের সমারোহে হলুদ রঙের ফুল উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে। বৃষ্টির পানি পেয়ে ফসলের মাঠে প্রাণ ফিরে পাওয়ায় সৌন্দর্য আরও বেড়ে গেছে। যৌবন জোয়ারে নিজেকে বিলিয়ে দিতে ব্যস্ত যেন প্রকৃতির মাঝে। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে পরিবেশ ও ফূলপ্রেমীদের সুর্যমূখী ক্ষেতের সেলফি তোলা। আর এদের পদচারণায় মুখরিত গ্রামীণ জনপদের খেত-খামার।
দুমকি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সূর্যমুখী চাষে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০ হেক্টর। বাস্তবে চাষাবাদ হয়েছে ৪৫ হেক্টরের অধিক জমিতে। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ছড়িয়ে ছিটিয়ে সূর্যমুখী চাষ হলেও শ্রীরামপুর ইউনিয়নের জামলা, কোহারজোড় ও দক্ষিণ শ্রীরামপুরের জমিতে বেশি চাষাবাদ হয়েছে।
কোহারজোড় এলাকার কৃষক আ. জলিল খান বলেন, তিনি এবছর ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে আমন ধান পরবর্তী পতিত ৩ একর জমিতে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ ক্রমে হাইসান-৩৩ জাতের সূর্যমুখী চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এখন পর্যন্ত গাছ বেশ ভালো হয়েছে।
শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক ইউছুফ খান জানান, এক একর জমিতে তিনি সূর্যমুখী চাষ করেছেন, গাছে বেশ ভালো ফুল ফুটেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে নিজের চাহিদা পূরণ করে বিক্রি করা যাবে এবং এর শুকনো গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করতে পারব।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইসমিতা আক্তার সোনিয়া জানান, সূর্যমুখীর বীজ থেকে যে তেল হয় তা মানসম্পন্ন ও স্বাস্হ্যসম্মত। ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণে তিনি উপজেলার কৃষকদের উৎসাহিত করে যাচ্ছেন। বিনামূল্যে সূর্যমুখীর বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত সূর্যমুখী চাষে প্রদর্শনী প্লট তদারকি ও করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর কৃষকরা লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।