সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জ পৌরসভার ভাগাড় অপসারণের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মুলজান এলাকায় মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকাবাসী।
সোমবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সামাজিক সংগঠনের সদস্য এবং হাজারো মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে অংশ নেয় এসএ প্রি-ক্যাডেট স্কুল, মুলজান হাই স্কুল, মুলজান জামে মসজিদ ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গ্রামীণ ব্যাংক মুলজান শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রগতি সংঘের সদস্যরা। অংশগ্রহণকারীদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল— “লোকালয়ে ভাগাড় কেন?”, “দূষণ চাই না, সঠিক ব্যবস্থাপনা চাই”, “ভাগাড় সরাও, কৃষিজমি বাঁচাও”, “আমরা শিশু, আমাদের বাঁচতে দাও” ইত্যাদি স্লোগান।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মুলজান হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সলিম উদ্দিন, বিএনপি নেতা আনিসুর রহমান ফরহাদ, সানাউল হক টুলু, সাংবাদিক কাবুল উদ্দিন খান, স্থানীয় লুৎফর রহমান, খন্দকার আক্কাস আলী ও মশিউর রহমান বাবু প্রমুখ।
মুলজান হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী তাসনিমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, “ভাগাড়ের দুর্গন্ধে পড়াশোনা করা যায় না। অনেক সময় বমি লাগে, মাথা ব্যথা হয়, মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়।”
মুলজান হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী জাকারিয়া হাসান বলেন, “আমরা কোরআন তিলাওয়াত করি, কিন্তু দুর্গন্ধে মন বসে না। আল্লাহর ঘরের পাশে এভাবে ভাগাড় রাখা ঠিক নয়।”
পরে উত্তেজিত জনতা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করলে প্রায় আধা ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং স্থানীয়রা অবরোধ তুলে নেন।
বিএনপি নেতা আনিসুর রহমান ফরহাদ বলেন, “ভাগাড় স্থাপনের শুরু থেকেই আমরা প্রতিবাদ করছি। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে এবং জোর করে ভাগাড় নির্মাণ করেছে। মাত্র ৬০০ গজের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি থাকার পরও ভাগাড় বসানো হয়েছে। এতে দুর্গন্ধে বসবাসই অসহনীয় হয়ে পড়েছে।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “দূষণে রোগবালাই বাড়ছে। দ্রুত ভাগাড় সরানো না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”
মানববন্ধনে বক্তারা আরও জানান, মানিকগঞ্জ পৌরসভার ভাগাড় মুলজান, বাগজান ও ভাট-বাউর এলাকার মানুষের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। দ্রুত ভাগাড় স্থানান্তরের দাবি জানান তাঁরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।