আমরা দ্বিধা ও সিদ্ধান্তহীনতা অপছন্দ করলেও আমাদের এর মুখোমুখি হতে হয়। অনেক বিকল্প উপায়ের মধ্যে নিজেদের হারিয়ে ফেললেও সঠিক অপশন খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়। অনেক সময় এটি মানসিক সমস্যার মতো হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তির অভ্যাসগতও হয়ে থাকে।
আত্নবিশ্বাসের অভাবে মানুষ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। কোনটি তার জন্য লাভজনক সেটা বুঝতে পারে না। ফলে সঠিক রাস্তা খুঁজে পায় না। অনেক মানুষের সাথে পরামর্শ করতে থাকে। এতে সময় নষ্ট হয়। একটি সিদ্ধান্ত নিলে কয়েক দিন পর তা আবার পরিবর্তন করতে থাকে।
এজন্য সে হতাশায় ভুগতে থাকে। দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে। যদি দেখে সিদ্ধান্ত ভুল হয়েছে বা ফলাফল নেতিবাচক হয় তাহলে আত্নবিশ্বাস শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। ফলে ব্যক্তি খুব রেগে যায়। নিজের মধ্যে ভয় কাজ করে। একটা কাজ করতে বললে সে পারবে কি পারবে না সে বিষয়ে ভাবতে থাকে। বাস্তবতার মুখোমুখি হতে ভয় পায়। শতভাগ প্রচেষ্টা থাকে না।
উপসর্গ হিসেবে হাত-পা কাঁপতে থাকে। গলা শুকিয়ে আসে। ঘেমে যায়। মানসিক অস্থিরতা বিরাজ করে। আপনার উচিত স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে এটা মেনে নেওয়া। কেননা সিদ্ধান্ত ভুল হতেই পারে। পজিটিভ কিছু দেখতে চাইলে কোনটা আরামদায়ক বা আনন্দময় তা ভাববেন না- ভাববেন কোনটা লাভজনক।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাইলে আগে ভেবে দেখুন। ইতিবাচক ও নেতিবাচক কী কী ফলাফল আসবে তা অনুমান করুন। ফলাফল ইতিবাচক হলে সন্তুষ্ট হওয়া উচিত ও নেতিবাচক হলে পরিস্থিতি সামাল দেওায়র চেষ্টা করুন। অন্যের সাথে নিজের তুলনা করা বন্ধ করতে হবে। অনেক সময় পরিবারও আপনার সাথে অন্য কারও তুলনা করে। এতে কেবল হতাশাই বাড়বে। আপনি নিজের মতো প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
আপনি জীবনে ইতিবাচক যা যা করেছেন সেজন্য সন্তুষ্ট হওয়া উচিত ও আত্নবিশ্বাস বাড়াতে হবে। আপনাকে দিয়ে যেকোন কাজ সফলভাবে করানো সম্ভব এ বিশ্বাস রাখুন। আপনার সিদ্ধান্ত আপনার বাবা-মা বা অন্য কেউ নিয়ে দিলে আপনার নির্ভরতা বাড়বে। অন্যের উপর নির্ভরতা কমিয়ে নিজে ঠান্ডা মাথায় ভেবে সিদ্ধান্ত নিন।
যেসব লক্ষণে বুঝবেন মুখের ক্যান্সার, যা করণীয়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।