বাথটাবে ঢোকা বা শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে থাকার কথা এবার ভুলে গিয়ে এবার প্রস্তুত হন নিজেকে ওয়াশিং মেশিনে ঢোকানোর জন্য! এরকম ধারণা বাস্তবে রূপ দিয়ে জাপান-ভিত্তিক শাওয়ার হেড প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ‘সায়েন্স কোং’ এনেছে একটি বিশাল ‘হিউম্যান ওয়াশিং মেশিন’।
জাপানি সংবাদপত্র আসাহি শিম্বুনের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৫ সালের এপ্রিলে শুরু ওসাকা কানসাই এক্সপোতে এটি প্রথম প্রদর্শিত হয়।
এই ধারণাটি প্রথম শুরু করে ‘স্যানিও ইলেকট্রিক’ কোম্পানি (বর্তমানে প্যানাসনিক হোল্ডিংস কর্পোরেশন নামে পরিচিত)। ১৯৭০ সালে জাপান ওয়ার্ল্ড এক্সপোজিশনে এই ধারণা নিয়ে প্রথম কাজ হয়। বর্তমানে ‘সায়েন্স কোং’ কোম্পানিটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর করে ভবিষ্যৎ স্নানের অভিজ্ঞতার ধারণাটিকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ‘হিউম্যান ওয়াশিং মেশিন’-এ প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ জন ব্যক্তি ১৫ মিনিটের মধ্যে শরীর ধোয়া ও শুকনোর চক্রটি উপভোগ করতে পারবেন। কোম্পানির ওয়েবসাইটে একটি বিশেষ পাতায় মেশিনগুলোর রিজার্ভেশনও গ্রহণ করা হচ্ছে।
নতুন নকশাটি দেখতে জেট ফাইটার ককপিটের মতো। এর পেছনের দিকে একটি স্বচ্ছ কভার খোলা থাকে। ব্যবহারকারীরা একটি আসনে বসার পর ডিভাইসটি আংশিকভাবে গরম জলে ভরে যায়।
নিরাপদ এবং আরামদায়ক তাপমাত্রা নিশ্চিত করার জন্য সেন্সরও আছে, যেগুলো দেহের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণগুলো পরিমাপ করে। এআই সিস্টেম ব্যবহার করে মানসিক অবস্থা বিশ্লেষণ করার ব্যবস্থাও রয়েছে।
কোম্পানির চেয়ারম্যান ইয়াসুয়াকি আওয়ামার কাছে এই প্রকল্পটি অত্যন্ত ‘ব্যক্তিগত’। ওসাকাতে ছোটবেলায় তিনি ১৯৭০ সালের এক্সপোতে মূল প্রদর্শনীটি দেখার জন্য লাইনে অপেক্ষা করেছিলেন। আর এখন নিজেই এটি বাস্তবায়ন করেছেন। আওয়ামা বলেন, ‘এই নতুন হিউম্যান ওয়াশিং মেশিনটি ১৯৭০ সালের এক্সপোর একটি উত্তরাধিকার।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।