জুমবাংলা ডেস্ক: বহুমাত্রিক লেখক, ভাষাবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আল মামুনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ও আনোয়ার আলম, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন, নূর মোহাম্মদ ও হাফিজ মাহমুদ।
এদের মধ্যে সালেহীন ও নুর মোহাম্মদ পলাতক রয়েছেন।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন হুমায়ুন আজাদ। তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
পরদিন তার ভাই মঞ্জুর কবির বাদী হয়ে রমনা থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।
হামলার পর হুমায়ুন আজাদ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ২২ দিন এবং পরে ব্যাংককে ৪৮ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
পরবর্তী চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে স্থানান্তরিত করা হয় তাকে। ১২ আগস্ট সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
তার মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়।
২০০৭ এর ১৪ নভেম্বর অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক কাজী আবদুল মালেক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) প্রধান শায়খ আবদুর রহমানসহ ৫ জঙ্গির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
উল্লেখ্য, একই বছরের ৩০ মার্চ ঝালকাঠিতে দুই বিচারক হত্যা মামলায় শায়খ আবদুর রহমান ও আতাউর রহমানের ফাঁসি হয়।
মামলার পুনঃতদন্ত শেষে প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে, দুই আসামি সালাহউদ্দিন ওরফে সালেহীন এবং রাকিবুল হাসান ওরফে হাফিজ মাহমুদকে ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি একটি প্রিজন ভ্যান থেকে অপহরণ করা হয়।
রাকিবুল ইসলাম সেই রাতেই ধরা পড়ে এবং পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়।
ভারতের বিরোধিতা করে হাইকমিশনের ইফতারেও যায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।