জুমবাংলা ডেস্ক : ১২-১৩ বছরের বাচ্চারা হারিকেন কী জিনিস, বলতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, “ফ্রান্সের মতো দেশেও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার জন্য বলা হচ্ছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এখন বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার জন্য বলা হচ্ছে। আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশ, বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন। আজকে কোনো ১২-১৩ বছরের ছেলেকে যদি জিজ্ঞেস করেন হারিকেন কাকে বলা হয়? সে বলতে পারবে না।”
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “হারিকেন এখন আমাদের ড্রয়িং রুমে সাজিয়ে রাখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ হারিকেনের ব্যবহার নেই। আজ থেকে ১৩-১৪ বছর আগে হারিকেন জ্বালিয়ে অনেককে পড়তে হতো। আমরা সরকার গঠন করার আগে বিদ্যুৎ সুবিধা পেত বাংলাদেশের ৪০% কম মানুষ। আজকে শতভাগ মানুষের দোর গোড়ায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। দোর গোড়ায় পৌঁছে গেলেও সেটা সাশ্রয়ীভাবে ব্যবহার করার আহ্বান কোনোভাবেই ভুল নয়।”
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এবং কত টাকা ভর্তুকি দিতে হয় সরকারকে সেটাও জানিয়েছেন। শুধুমাত্র বিদ্যুৎ আর জ্বালানি খাতে ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি ভর্তুকি দিতে হয়, তাহলে পরিস্থিতিটা আপনারা অনুধাবন করার চেষ্টা করুন।
বিএনপি সরকারের আমলে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকার কাটিং দেখিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা জনগণের দোর গোড়ায় বিদ্যুৎ দিতে পারেনি তারা আজকে যেভাবে বড় গলায় কথা বলে, এটি তাদের মুখে মানায় না। আজকের পৃথিবীতে জ্বালানির সংকট তৈরি হয়েছে এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে সংকট তৈরি হয়েছে। উন্নত দেশগুলো সাশ্রয়ীভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে।
তিনি আরও বলেন, “যারা সমালোচনা করছেন তাদের অনুরোধ জানাবো পেছনে ফিরে তাকানোর জন্য। বিএনপিকে বলবো, আপনারা কী করেছিলেন? মানুষ যখন বিদ্যুতের দাবি দিয়েছিল তখন গুলি করে মানুষকে হত্যা করেছিলেন। আর যারা বুদ্ধিজীবী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করেন, কারণে-অকারণে সমালোচনা করেন, পদ্মা সেতু নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন সেই সমালোচনা এখন আপনাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ক্ষেত্রেও অহেতুক সমালোচনা না করার অনুরোধ জানাবো।”
এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে যে সিস্টেম লস ছিল আগে সেটাও একটা অপচয়। সেই অপচয়টা অনেক কমানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।