স্পোর্টস ডেস্ক : হাঁটুর অস্ত্রোপচারের পর কেবলই টুকটাক অনুশীলনে ফিরেছেন কেন উইলিয়ামসন। এখনও পুরোপুরি সেরে না ওঠা নিউজিল্যান্ডের তারকা এই ব্যাটসম্যানের মাঠে ফেরা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে নানা জল্পনা-কল্পনা। বিশ্বকাপে তাকে পাবে কিউইরা? নাকি এর আগেই দেখা যাবে জাতীয় দলের জার্সিতে? উইলিয়ামসন উড়িয়ে দিলেন সেসব আলোচনা। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ সফরে মাঠে নামা তার কাছে মনে হচ্ছে ‘তাড়াহুড়া’। একই সঙ্গে বৈশ্বিক আসরে খেলার সম্ভাবনাও খুব একটা দেখছেন না তিনি।
গত ৩১ মার্চ আইপিএলের সবশেষ আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে হাঁটুর লিগামেন্টের চোটে পড়েন উইলিয়ামসন। সীমানায় ছক্কা বাঁচাতে গিয়ে বাজেভাবে পড়ে যান গুজরাট টাইটান্সের হয়ে খেলতে নামা এই ক্রিকেটার। ছক্কা আটকাতে পেরেছিলেন বটে, কিন্তু ওই পড়ে যাওয়াতেই শেষ হয়ে যায় তার আইপিএল। ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়ে দেশে ফেরেন তিনি ক্রাচে ভর দিয়ে। বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেন, তার এন্টিরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট (এসিএল) ছিঁড়ে গেছে। অস্ত্রোপচার করা ছাড়া ছিল না বিকল্প কোনো পথ। পরের মাসে শল্যবিদের ছুরিকাঁচির নিচে যান উইলিয়ামসন।
অস্ত্রোপচারের পর এই ধরনের চোট থেকে সেরে উঠতে সাধারণত ৬ মাসের মতো সময় লাগে। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থাকা উইলিয়ামসন চলতি মাসের শুরুতে নেটে থ্রোডাউনে কয়েকটি বল খেলে জানান দেন সুস্থ হওয়ার পথে আছেন তিনি। আগস্ট-সেপ্টেম্বরের ইংল্যান্ড সফরেও দলের সঙ্গে যাবেন উইলিয়ামসন। সেখানে চালিয়ে যাবেন পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। সেপ্তেম্বরেই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ বাংলাদেশ সফরে আসবে নিউ জিল্যান্ড। এই সিরিজ দিয়ে ফেরার সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়ে বে ওভালে সাংবাদিকদের উইলিয়ামসন বলেন, সেরে ওঠার পথে ধীরলয়ে এগোতে চান তিনি।
উইলিয়ামসন বলেন, বিষয়টি জটিল- শুরু করতে হবে ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করে। সেরে ওঠার ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করছে। স্ট্রেংথ নিয়ে, মুভমেন্ট নিয়ে, আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করা যায় কিন্তু সবার আগে সেরে উঠতে হবে। সেই সময় আসার আগে অনেক কিছুরই পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সবকিছু বিবেচনায় তাই সিরিজটি (বাংলাদেশের বিপক্ষে) বেশ তাড়াহুড়া হয়ে যায়।
ভারতের মাটিতে আগামী ৫ অক্টোবর শুরু ওয়ানডে বিশ্বকাপ। উদ্বোধনী দিনেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড। এই টুর্নামেন্ট দিয়ে মাঠে ফেরার তেমন সম্ভাবনা দেখেন না কিউইদের নিয়মিত অধিনায়ক। তবে আশাও ছাড়ছেন না তিনি।
উইলিয়ামসন জানান, বিশ্বকাপে খেলা সব সময়ই বিশেষ কিছু। মাঠে ফিরতে পারব কবে, এই মুহূর্তে এটা নিয়ে কিছু বললে কেবল অনুমান করা হবে। এখনও অনেক কাজ করতে হবে। ফিজিও, নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট ও সাপোর্ট স্টাফের সঙ্গে আমি প্রোগ্রাম অনুসরণ করছি। এটি কঠিন, কারণ কোনো দিন বেশ ভালো যায়, কোনো দিন আবার একটু ভিন্ন। তখন (চোটে পড়ার পর) সম্ভাবনা ক্ষীণ ছিল, এখনও এটা কঠিন লক্ষ্য। বিশ্বকাপের ভাবনা থাকা অবশ্যই অনুপ্রেরণাদায়ক এবং আপনি (সেরে ওঠার পথে) উন্নতি দেখতে চাইবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।