জুমবাংলা ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি বাড়িতে স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে ১৭ বছর যাবত বসবাস করছেন দুলাল মিয়া ও সালমা আক্তার নামে প্রেমিক প্রেমিকা। এরমধ্যে একাধীকবার বিয়ের প্রলোভন দিয়েও সালমাকে বিয়ে করেনি দুলাল।
অবশেষে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় সালমা। হয়তো দুলাল তাকে বিয়ে করবে নয়তো তাকে জবাই করে হত্যা করবে। কিন্তু দুলাল সেই পূর্বের মতই শুক্রবার দুপুরে আবারও আশ্বাস দিয়ে মেলা মেশার চেষ্টা করেন। এতে সালমাও সিদ্ধান্ত মতো ছুরি নিয়ে বিছানায় যায়। আর দুলাল পাশে সুতেই সালমা প্রেমিকের গলায় ছুরিকাঘাত করেন।
এসময় চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে দুলালকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
শুক্রবার দুপুরে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ ঢালিপাড়া এলাকায় মোক্তার মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসায় এ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় রক্তমাখা ছুরিসহ সালমা আক্তারকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত সালমা আক্তার (৩৮) বরিশাল জেলার গলাচিপা থানার শাহা আলমের মেয়ে।
আহত দুলাল কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার হালগড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জানা যায়নি। সে পেশায় মাছ ব্যবসায়ী।
সালমা জানান, মাছ বাজারে দুলালের সঙ্গে পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দুজন দুজনাকে অনেক ভালোবাসতাম। এজন্য একই ঘরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ১৭ বছর ধরে বসবাস করছি। আমাদের এখনো কোন সন্তান হয়নি। আমার ইচ্ছে সন্তান নেওয়ার। কিন্তু বৈধ সম্পর্ক ছাড়াতো আর সন্তান নেওয়া যায়না। দুলালকে বিয়ের কথা বললে সে আজ নয় কাল এভাবে অনেক দিন ধরে সময় ক্ষেপন করে অবৈধভাবে শারীরিক মেলামেশা করেই চলছে। তাই জিদ করে তাকে ছুরিকাঘাত করেছি।
এ বিষয়ে রাতে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই সোহাগ সাহা জানান, স্থানীয় লোকজন সালমাকে রক্তমাখা ছুরিসহ আটক করে পুলিশে দিয়েছে। সালমা ও দুলালের সমস্যার কথা শুনেছি। এবিষয়ে দুলালের বোন বাদী হয়ে সালমা আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করবে। দুলাল চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে সুস্থ হলে তার সাথেও কথা বলা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।