জুমবাংলা ডেস্ক : নড়াইল সদর উপজেলায় পলি বেগম (৩৪) নামে এক নারী তার স্বামী শিমুল গাজীকে (৪০) হত্যা করে ঘরের মধ্যে মাটি চাপা দেন।
এ ঘটনায় ওই নারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ আদালতে পাঠালে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর বিকেলে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নড়াইল সদরের শেখহাটি ইউনিয়নের কাইজদাহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নড়াইল জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নড়াইল সদর থানার শেখহাটি ইউনিয়নের কাইজদাহ গ্রামের মৃত আবদুল্লাহ গাজীর পূত্র কৃষক শিমুল গাজী দ্বিতীয় স্ত্রী পলি বেগমকে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করতো। গত ২ সেপ্টেম্বর শিমুল নিখোঁজ হয়। শিমুলের ছোট ভাই ইমরুল ইসলাম নিখোঁজের বিষয়টি জানার পর গত শনিবার স্থানীয় শেখাটি পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দেন। এর দু’দিন পর সোমবার পলির ঘরের মধ্যে এক কোনায় নতুন মাটি দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয়। পরে তিনি বিষয়টি পুলিশ ফাঁড়িতে এসে কর্তব্যরত পুলিশকে জানালে পুলিশ পলি বেগমকে হেফাজতে নেন এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পুলিশের সন্দেহ হয়। এরপর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ঘরের মাটি খুঁড়ে শিমুলের লাশ উদ্ধার করা হয় এবং পরে পলি বেগমকে গ্রেফতার করা হয়।
পলি বেগম আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে জানায়, ঘটনার দিন (২ সেপ্টেম্বর) রাতে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে তার স্বামীকে ভাতের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ান তিনি। এতে তার স্বামী অচেতন থাকা অবস্থায় মধ্য রাতে তার স্বামীকে পাজা কোলে করে ঘর থেকে তার বাড়ির উঠানে নিয়ে যান। সেখানে সাদা রঙয়ের লম্বা মোটা রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলেন।
পরে রশি গলায় প্যাঁচ দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। তার স্বামীকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য তার বাড়ির পশ্চিম পোতায় একচালা টিনের বেড়াযুক্ত ছাপড়া ঘরের মধ্যে মাটি খুঁড়ে লাশ পুতে রাখে ও সিমেন্টের বস্তায় বালু ভরে উপরে রাখে এবং তার উপরে কাঠের চৌকি দিয়ে লাশ গুম করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।