জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার সাদেক খান রোড এলাকায় স্বামী শামীম মিয়াকে (৪০) কুপিয়ে হত্যা করেন স্ত্রী বানু বেগম (৩১)। তিনি নিজেই বিষয়টি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে জানান। বানু বেগম জানান, তিনি তাঁর স্বামীকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন, এখন তিনি আত্মসমর্পণ করতে চান।
আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে। শামীম-বানু দুজনেরই এটি দ্বিতীয় সংসার ছিল। দুই-তিন মাস আগে তাঁরা বিয়ে করেন। বিয়ের তিন মাস না যেতেই এমন ঘটনা ঘটল।
বাড়ির মালিক ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শামীম ও রানু মাত্র তিন দিন আগে ভাড়া বাসায় ওঠেন। তাঁদের বাসায় কোনো আসবাব ছিল না। গতকাল বুধবার রাত ১০টা থেকে তাঁদের দুজনের ঝগড়া শুরু হয়। যা গভীর রাত পর্যন্ত চলে। এই ঝগড়ার একপর্যায়ে রুমে থাকা বঁটি দিয়ে শামীমের পিঠে, গলা ও ঘাড়ে আঘাত করেন স্ত্রী বানু। পরে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশ বলছে, পারিবারিক কলহের জেরে শামীমকে কুপিয়ে হত্যা করেন বানু। এ ছাড়া ঘটনার অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না, সেটি আরও খতিয়ে দেখা হবে।
জানা গেছে, শামীম মিয়ার আগের সংসারে স্ত্রী ও তিন সন্তান আছে। আর বানু বেগমও বিবাহিত ছিলেন। তাঁর একটি ছেলেসন্তান আছে। সেই সন্তান সাবেক স্বামীর মায়ের কাছে থাকে। সন্তানকে ঢাকায় আনার বিষয় নিয়ে স্বামী শামীমের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া চলছিল। হত্যার পেছনে এটিও একটি কারণ হতে পারে বলে ধারণা করছে থানা-পুলিশ।
মোহাম্মদপুর থানায় বসে নিহত শামীমের বাবা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমার ছেলে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে—এ খবর আমরা জানতাম না। আগের ঘরে ছোট ছোট তিনটি সন্তান রয়েছে। মুক্তাগাছা এলাকায় আমার ছেলের বালুমাটির ব্যবসা রয়েছে।’
স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা, ৯৯৯-এ কল করে স্ত্রীর আত্মসমর্পণস্বামীকে কুপিয়ে হত্যা, ৯৯৯-এ কল করে স্ত্রীর আত্মসমর্পণ
শামীমের বাবা আরও বলেন, ‘পাশের এলাকার একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে শুনেছি। পরে আমরা মেয়েটিকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে জানায়, শামীমের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। অথচ এই মেয়েই আমার ছেলেকে ফুসলিয়ে ঢাকায় এনে হত্যা করেছে।’
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, নিহত শামীমের দ্বিতীয় স্ত্রী বানু। তাঁরা দুই–তিন মাস আগে বিয়ে করে। কয়েক দিন আগে এই বাসায় ওঠে। তাঁদের কোনো সন্তান নেই। নিহতের প্রথম স্ত্রী ও সন্তানেরা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে থাকে। গ্রেপ্তার বানু বেগমেরও আগে সংসার ও সন্তান রয়েছে। নিহতের পরিবারের সদস্যরা এসে মামলা করলে নারীকে আদালতে তোলা হবে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না, সে বিষয়টি দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।