আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। তাদের প্রতিহত করতে যৌথ স্কোয়ার্ড গঠন করে সেখানে যুদ্ধজাহাজ পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে ইরানও যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে লোহিত সাগরে। চলমান উত্তেজনার মধ্যে সাগর পথ এড়িয়ে মধ্যপ্রাচ্য এবং ভারত থেকে জ্বালানি পরিবহনকারী জাহাজ ইউরোপের পথে যাচ্ছে।
দীর্ঘ এই পথ পাড়ি দিতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অন্তত তিন সপ্তাহ বেশি সময় লাগবে। এতে জাহাজগুলোর একদিকে তেল পরিবহন খরচ বেশি হবে, অন্যদিকে তেল সরবরাহেও দেখা দিতে পারে জটিলতা।
লোহিত সাগরে ইয়েমেনের হুথিদের হামলার ভয়ে এডেন উপসাগর ও বাব আল-মান্দেব প্রণালী এড়িয়ে অন্তত চারটি জ্বালানি ট্যাংকার পুরো আফ্রিকা মহাদেশ ঘুরে ইউরোপের পথে রওয়ানা হয়েছে।
ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম বা বিপি’র মত বড় কোম্পানিও হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকা এড়িয়ে চলছে। যদিও এতে করে ইউরোপে তাদের তেল সরবরাহের খরচ বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আমেরিকা এবং এর কয়েকটি মিত্র দেশ লোহিত সাগরের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করলেও তারা প্রকৃতপক্ষে লোহিত সাগরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যর্থ হয়েছে, যার কারণে ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম সহ অন্যান্য বড় কোম্পানিগুলোতে আস্থার ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
ফলে এভারগ্রিন এবং ফ্রন্টলাইনের মত বড় জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থাগুলোও অধিকাংশ সময় লোহিত সাগরের পথ এড়িয়ে চলছে।
উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের প্রতিবাদে ইয়েমেনের হুথি বাহিনী বাব আল-মান্দেব ও লোহিত সাগর এলাকায় ইসরায়েলের সমস্ত জাহাজে হামলা কিংবা এসব জাহাজ আটকের চেষ্টা চালায়। এতে এই রুট জাহাজ চলাচলের জন্য অনেকটা অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।