আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আর কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়াবে হাইড্রোজেন ট্রেন। এই কাজ দ্রুত করতে চাইছে ভারতীয় রেল। ভারতের মতো দেশে হাইড্রোজেন ট্রেন চলাচল একটি নতুন দিক সামনে নিয়ে আসবে। চেন্নাইয়ের একটি কারখানায় তৈরি করা হচ্ছে এই ট্রেন।
ভারতের মতো জনবহুল দেশে যাতে কার্বনের ব্যবহার কম করা যায় সেজন্য এখানে এই হাইড্রোজেন ট্রেন বেশি করে চালানো হবে। পরিবেশের কথা মাথায় রেখে এই কাজটি করা হচ্ছে। ভারতীয় রেল ইতিমধ্যে ২৮০০ কোটি টাকা এই নতুন ট্রেন তৈরিতে বিনিয়োগ করছে। দেশের প্রতিষ্ঠানে তৈরি করা হবে মোট ৩৫ টি হাইড্রোজেন ট্রেন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অংশে যে ডিজেল চালিত ট্রেনগুলি রয়েছে সেগুলিকে একেবারে বন্ধ করে দেওয়ার জন্যেই তৈরি করা হয়েছে হাইড্রোজেন ট্রেনকে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, যদি ভারত এই হাইড্রোজেন ট্রেন চালু করতে পারে তাহলে সেটি হবে বিশ্বের সবথেকে লম্বা রুটের হাইড্রোজেন ট্রেনের রুট। এমনকি হাইড্রোজেন ট্রেন তৈরিতে বিশ্বের অন্য দেশকে ছাপিয়ে যাবে ভারত।
রেলমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, শুধু এই ট্রেন চালানোই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধান টার্গেট নয়। যাতে ট্রেন দুর্ঘটনা আগামীদিনে কম হয় সেদিকেও নজর দেওয়া হবে। পেট্রোল এবং গ্যাসকে বাঁচিয়ে কাজ করাই হল তাদের প্রধান টার্গেট। অন্য দেশ যেখানে ৫০০ বা ৬০০ হর্সপাওয়ারের হাইড্রোজেন ট্রেন তৈরি করেছে ভারত সেখানে ১২০০ হর্সপাওয়ার ইঞ্জিনের হাইড্রোজেন ট্রেন তৈরি করবে।
চলতি বছরের ৩১ মার্চের মধ্যেই হয়তো শুরু হয়ে যাবে হাইড্রোজেন ট্রেন। বিষয়টি নিয়ে রেলের কর্তারাও বেশ উৎসাহিত। প্রথম ধাপে জিন্দ থেকে সোনিপথে চলবে এই ট্রেন। দিল্লির নর্থ রেলে প্রথম শুরু করা হবে এই ট্রেন।
তবে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। তারা জানিয়েছে যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এত ট্রেন দুর্ঘটনার খবর আসছে সেখানে এই ধরণের একটি ট্রেন চালানো অনেক বেশি ঝুঁকির। রেলের সঙ্গে যাত্রী নিরাপত্তার দিকটিও সেখানে দেখা সবার আগে দরকার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।